শনিবার | ৬ সেপ্টেম্বর | ২০২৫

মহানবী সা. ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আমাদের জন্য আদর্শ: প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, মহানবী (সা.) মানবতার মুক্তি, সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার যে মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা আজও আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। মহানবী (সা.) শিখিয়েছেন, ন্যায়বিচার কোনো ব্যক্তিবিশেষের জন্য সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা সমগ্র মানবজাতির মৌলিক অধিকার। আইনের শাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা রক্ষায় তিনি আমাদের জন্য অনন্য আদর্শ।

আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। এই দিন মানবতার মুক্তিদাতা সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়সহ শান্তিকামী সব মানুষের কাছে দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের ধর্মীয় ও পার্থিব উভয় জীবনে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা ও জীবনাদর্শ অনুসরণীয়। মহানবী ছিলেন মহানুভবতা, সহনশীলতা, সততা, নিষ্ঠাসহ নানা মানবিক গুণে গুণান্বিত একজন মহামানব, মানবজাতির পথপ্রদর্শক।

তিনি বলেন, মহানবী (সা.) তাঁর জীবনে এমন বহু দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যেখানে ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা, সাহসিকতা এবং নৈতিক দৃঢ়তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে। তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন যে, বিচারকার্য পরিচালনায় কোনো ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদা, সম্পদ কিংবা ক্ষমতার প্রভাব বিবেচ্য হবে না; বরং সবার জন্য একই আইন এবং একই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তাই আইনাঙ্গনের সব সদস্যের জন্য ন্যায়বিচারের এই আদর্শকে ধারণ করা কেবল পেশাগত দায়িত্ব নয়, বরং একটি নৈতিক অঙ্গীকার।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশ একটি বহু ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতির দেশ। মহানবী (সা.) তাঁর জীবদ্দশায় মদিনার সনদের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, পারস্পরিক সহনশীলতা ও সহাবস্থানের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। তাঁর এই শিক্ষা আমাদের জাতীয় জীবনে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সৌহার্দ্যের চর্চার মাধ্যমেই আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।

তিনি আরও বলেন, এই পবিত্র দিনে সবার প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, মহানবী (সা.)-এর মানবতামূলক শিক্ষা ও ন্যায়বিচারের আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে আমরা সকল প্রকার বৈষম্য, অন্যায় ও বিদ্বেষ পরিহার করব এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় নিয়োজিত হব।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img