সোমবার | ৭ জুলাই | ২০২৫

ছাত্র আন্দোলনের ২০ দিনে দেড় হাজার হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে হাসিনা : মান্না

spot_imgspot_img

ছাত্র-জনতার চলমান আন্দোলন দমনে সরকার দেড় হাজার মানুষ হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, “হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে যে বর্বর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, জুলাই-আগস্টে মাত্র ২০ দিনের মধ্যে দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করেছে—এটা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়।”

রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ গণজাগরণ দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এই দাবি করেন। ২০১১ সালের ৬ জুলাই তৎকালীন সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুকের ওপর হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে এই কর্মসূচি হয়।

মান্না বলেন, “আমাদের যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিত। জয়নুল আবেদিন ফারুকের ওপর যে নির্যাতন হয়েছিলো, তা এক সময় ম্লান হয়ে গেছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের গণহত্যা ইতিহাসে অমোচনীয় দাগ হয়ে থাকবে।”

ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের প্রসঙ্গে মান্না বলেন, “আলাল বললেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান, কিন্তু আমি বলি—এটা শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থান। এখানে তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ মারা যায়নি, নিহতদের অধিকাংশই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আমি নিজে বগুড়ার মানুষ, সেখানে ১১ জন নিহত হয়েছিল—তারা সবাই খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।”

আগামী নির্বাচনে বিএনপিই জয়ী হবে —দাবি করে তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার কথা এবং সেই নির্বাচনে বিএনপিই জিতবে। অনেকে অনেক কথা বলছে, বড় বড় সভা করছে। কিন্তু মানুষ শেষ পর্যন্ত বিএনপির দিকেই তাকিয়ে আছে।”

তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো যা-ই বলুক, ভোটের মাঠে এখনও বিএনপির জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। এই জনপ্রিয়তাকে মব কালচারের মাধ্যমে নষ্ট করা উচিত নয়। এখন দেশ গড়ার সময়, ভাঙার নয়। আওয়ামী লীগ আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ছিল বিএনপি। কিন্তু প্রতিশোধ না নিয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।”

রাজনৈতিক নেতা বলেন, “হয়তো আর ৫-১০ বছর বাঁচবো না। তাই চাই, তরুণ প্রজন্ম দায়িত্ব নিক। যদি তারা জ্ঞান ও বুদ্ধিকে গুরুত্ব দেয় এবং আন্তরিকভাবে দেশ গড়তে চায়, তাহলে তারাই পারবে নতুন বাংলাদেশ গড়তে।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাবেক সংসদ সদস্য লায়ন মো. হারুনুর রশিদ, গণজাগরণ দলের সভাপতি হাবিব আহমেদ আশিক, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনির, ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমূখ।

এ সময় অন্য বক্তাদের সবাই ২০১১ সালের হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img