গ্রেটা থুনবার্গ সহ সুমুদ নৌ-বহর থেকে আটক আরো ১৭১ এক্টিভিস্টকে মুক্তি দিয়েছে গাজ্জায় গণহত্যা চালিয়ে যাওয়া ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।
সোমবার (৬ অক্টোবর) অবৈধ রাষ্ট্রটির পক্ষ থেকে এবিষয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, নির্দেশনা অমান্য করে গাজ্জা অভিমুখে যাত্রা অব্যাহত রাখা নৌ-বহর থেকে আটক আরো ১৭১ জন এক্টিভিস্টকে ইসরাইল থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এই এক্টিভিস্টরা গ্রীস, ইতালি, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন, পোল্যান্ড, জার্মানি, বুলগেরিয়া, লিথুয়ানিয়া, অস্ট্রিয়া, লুক্সেমবার্গ, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, স্লোভাকিয়া, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, সার্বিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
বিবৃতিতে আরো বলা হয় যে, বহিষ্কৃত বা ইসরাইল ছাড়া করাদের মধ্যে জনপ্রিয় জলবায়ু এক্টিভিস্ট গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন। তাদের সকলকে গ্রীস এবং স্লোভাকিয়ায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
ইসরাইলী সেনাবাহিনী জানায়, দ্বিতীয় দফায় মুক্তি পাওয়া সুমুদ নৌ-বহরের ১৭১ জন এক্টিভিস্টকে গ্রীস এবং স্লোভাকিয়ার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে রওনা করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার (৪ অক্টোবর) প্রথম দফায় ১৩৭ জন এক্টিভিস্টকে মুক্তি দিয়েছিলো অবৈধ রাষ্ট্রটির সেনারা। তাদের তুরস্কের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিলো। প্রথম দফায় মুক্তি প্রাপ্তরা ইস্তাম্বুলে পৌঁছে সংবাদমাধ্যমকে ইসরাইলী সেনাদের ভয়াবহ অমানবিক আচরণের কথা তুলে ধরেছিলেন। তারা জানিয়েছিলেন যে, তাদের ৩ দিন আটক রাখার সময় কিছুই খেতে দেয়নি। বরং টয়লেট থেকে পানি পানে বাধ্য করা হয়।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, সম্প্রতি গাজ্জা অবরোধ ভাঙতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এক্টিভিস্টরা দ্বিতীয় বারের মতো ত্রাণ নিয়ে গাজ্জার উদ্দেশ্যে নৌ-যাত্রা শুরু করেছিলেন। পূর্বের মতোই যাত্রায় অংশ নেওয়া বহরের নাম দেওয়া হয় ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’।
গত ২ অক্টোবর গাজ্জা উপকূলের নিকটে ইসরাইলী যুদ্ধজাহাজের কাছাকাছি আসতেই নৌ-বহরটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পূর্বে ইসরাইলের নৌ-বাহিনী এই ত্রাণবাহী বেসামরিক নৌ-বহরটিকে সতর্ক বার্তা পাঠায়েছিলো। যেখানে বলা হয়, গাজ্জা অভিমুখে যাত্রা না থামালে একে নির্দেশনার লঙ্ঘন বলে বিবেচনা করা হবে। এতে শামিল হওয়া সকলকে গ্রেফতার করা হবে।
জবাবে সুমুদ বহরের সামনের সারিতে থাকা আলমা জাহাজের ক্যাপ্টেন নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়েছিলেন।
জাহাজটিতে থাকা আনাস শরীফ নামের একজন এক্টিভিস্ট আল জাজিরাকে বলেছিলেন, আমরা ইসরাইলের সতর্ক বার্তা প্রত্যাখ্যান করে এখন গাজ্জা অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের জাহাজ ক্রমেই ইসরাইলী যুদ্ধজাহাজের কাছে চলে আসছে। জাহাজের ক্যাপ্টেন আমাদের সকলের মোবাইল জমা নিয়ে নিচ্ছেন। গাজ্জা উপকূল থেকে আমরা এখন মাত্র ৮০ মাইল দুরত্বে অবস্থান করছি।
সূত্র: আল জাজিরা