ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজ্জা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। এমন অবস্থায় খাবার ও ক্ষুধাকে ইসরাইল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ। এমনকি ফিলিস্তিনিদের অনাহারে রাখার ইসরাইলী কর্মকাণ্ডকে “গণহত্যা” হিসাবেও আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
শুক্রবার (৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার খাদ্যের অধিকারের বিষয়ে জাতিসংঘের একজন বিশেষ প্রতিনিধি গাজ্জায় ফিলিস্তিনি জনগণকে অনাহারে রাখতে ইসরাইলের কর্মকাণ্ডকে “গণহত্যা” হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরাইল খাদ্য এবং ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে।
ইউএন হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের ৫৫তম অধিবেশনে যোগ দিতে জেনেভায় অবস্থান করার সময় মাইকেল ফাখরি গাজ্জায় খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরাইলের হামলা সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
ফাখরি বলেন, যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন আমরা দেখেছি মানুষ অভূতপূর্ব উপায়ে ক্ষুধার্ত থাকছে। এতো তাড়াতাড়ি ক্ষুধার্ত হতে আমরা কোনও সম্প্রদায়কে দেখিনি। এখন আমরা যা দেখছি তা হলো দুর্ভিক্ষ। শিশুরা অপুষ্টি এবং পানিশূন্যতায় মারা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আধুনিক ইতিহাসে কোনও সংঘাতে শিশুদের এতো দ্রুত অপুষ্টির শিকার হতে আমরা দেখিনি।
অপুষ্টির শিকার শিশুদের বিকাশে সমস্যা হবে জানিয়ে ফাখরি আরও বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম যে, তারা হয়তো স্টান্টিংয়ে (খুবই অল্প পরিমাণে পুষ্টি, বারবার সংক্রমণ এবং অপর্যাপ্ত মনোসামাজিক উদ্দীপনা) আক্রান্ত হতে পারে। যার অর্থ- তারা স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী ভাবে শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে।
তিনি বলেন, আমরা শিশুদের অপুষ্টি এবং ডিহাইড্রেশনে মারা যেতে দেখছি, এটি ভয়াবহ অবস্থা।











