মধ্য এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তিতে যাচ্ছে কাজাখস্তান।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে একথা জানায় দেশটির সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, আব্রাহাম চুক্তিতে আমাদের যোগদান প্রত্যাশিত ও কাজাখস্তানের পররাষ্ট্র নীতির স্বাভাবিক এবং যৌক্তিক ধারাবাহিকতাকে প্রতিনিধিত্ব করে – যা সংলাপ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার উপর ভিত্তি করে তৈরি।
এর আগে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ ঘোষণা করেছিলেন যে, একটি দেশ তাদের পরিচয় না জানিয়েই সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তিতে যোগ দিতে চায়। আমি আজ রাতেই ওয়াশিংটন ফিরে ঘোষণা করতে যাচ্ছি যে, নতুন আরেকটি দেশ আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দিবে।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, চুক্তিতে যোগদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া কাজাখ-ইসরাইল সম্পর্ক কীভাবে প্রভাবিত হবে তা স্পষ্ট নয়। কাজাখস্তান সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভের পরপর ১৯৯২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
গাজ্জা গণহত্যা চালিয়ে যাওয়া ইসরাইলের পৈশাচিক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ২০১৬ সালে কাজাখস্তান সফর করেছিলেন। এমনকি দেশ দুটির মাঝে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও হয়।
ইসরাইলের সাথে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন বা সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তির ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ট্রাম্প গাজ্জায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করার পর নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রচার করছেন। যদিও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন ইসরাইলীদের নির্মম সহিংসতার মাত্রা এবং লেবাননে ইসরাইলী হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, মধ্যপন্থার আব্রাহাম চুক্তির নামে অবৈধ রাষ্ট্রটি এখন পর্যন্ত মুসলিম বিশ্বের প্রায় ৫টি দেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছে বা করার পথে। দেশগুলো হলো, আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো, সুদান ও কাজাখস্তান।
আব্রাহাম চুক্তি ছাড়াই যেসব মুসলিম দেশ ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছিলো বা কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলো, এমন দেশের সংখ্যাও ৫টি। দেশগুলো হলো, মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, আজারবাইজান ও মৌরিতানিয়া।
যেসব মুসলিম দেশ ইসরাইলকে কখনোই স্বীকৃতি দিবে না বলে অঙ্গীকারবদ্ধ, মূলত তাদের সাথে আমেরিকার মধ্যস্থতায় বিভিন্ন দাবী বাস্তবায়নের শর্তে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের যে চুক্তি, তাই আব্রাহাম চুক্তি নামে পরিচিত।
সূত্র: আল জাজিরা









