ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান সরকার। এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে আখ্যা দিয়ে আদালতের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও দ্বিমুখিতার অভিযোগ তুলেছে আফগান সরকার।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে আফগান সরকারের মুখপাত্র মাওলানা জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এ কথা জানিয়েছেন।
মাওলানা জাবিহুল্লাহ বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক আদালত নামের কোনো প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাস করি না এবং এর প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা মানি না। এ ধরনের ভিত্তিহীন ঘোষণা আমাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আনবে না।”
তিনি আরও বলেন, “গাজ্জায় চলমান আগ্রাসন নিয়ে আইসিসি নীরব, যা আন্তর্জাতিক আদালত ও প্রতিষ্ঠানের দ্বিমুখিতা প্রকাশ করে। যে বিশ্বে গাজ্জায় প্রতিদিন শত শত নিরাপরাধ নারী-শিশু নিহত হচ্ছে, সেই বিশ্বে মানবাধিকার, বিচার ও আন্তর্জাতিক আদালতের কথা বলা লজ্জাজনক।”
এর আগে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রি-ট্রায়াল চেম্বার-২ আফগান আমিরুল মু’মিনীন মাওলানা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ও প্রধান বিচারপতি আব্দুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘোষণা দেয়। আদালতের মতে, ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে নারী নিপীড়ন ও রাজনৈতিক দমনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আদালতের দাবি, নারীদের শিক্ষা, কাজ ও চলাফেরার অধিকার নিষিদ্ধ করা এবং সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের দমন করা হয়েছে। এমনকি যেসব ব্যক্তি নারীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করছিলেন, তারাও হয়রানির শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনাকে আদালত রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারিত নিপীড়ন হিসেবে উল্লেখ করেছে।
আদলতের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আফগান সরকারে বলেছে, তারা ইসলামী শরিয়াহর ভিত্তিতে আফগানিস্তানে অভূতপূর্ব বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। ইসলামী আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি পুরো মুসলিম বিশ্বের বিশ্বাসকে অবমাননা করার শামিল।
সূত্র: আমু টিভি









