উপমহাদেশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের পক্ষে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে মদদ দিয়ে যাওয়া রাজৌরির এডিসি (অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার) রাজকুমার থাপা পাকিস্তানের হামলায় নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ মে) পাক নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে একথা জানায় এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
খবরে বলা হয়, ভারতের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের শুরু করা বুনয়ানুম মারসুস অভিযানে সীমান্ত সংঘাত ও বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী রাজৌরির অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার রাজকুমার থাপা নিহত হয়েছেন। পাক বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রের নির্ভুল আঘাতে তার মৃত্যু হয়।
পাক সামরিক কর্মকর্তারা জানান, রাজকুমার থাপা ভারত দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক প্রশাসনিক পদে নিয়োজিত ছিলেন। ভারত সরকার সমর্থিত সীমান্তের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সাথে সমন্বয় করতেন ও মদদ যোগাতেন। তিনি প্রায়শই ভারতীয় সামরিক বাহিনীর উচ্চস্তরের বৈঠক ও ব্রিফিংয়ে উপস্থিত থাকতেন।
কাশ্মীরের নির্যাতিত মুসলিম জনগণ তাকে দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ভারতের রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের প্রধান প্ররোচক বা কুমন্ত্রণাদানকারী বিবেচনা করে থাকেন। বিদ্রোহ দমনের নাম করে বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে সংঘটিত বড় বড় নৃশংসতাগুলোতে তার জড়িত থাকার একাধিক অভিযোগ ছিলো।
এছাড়াও জানানো হয়, সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের নামে ভারত পাকিস্তানের যেসকল বেসামরিক নাগরিক, মসজিদ, মাদরাসা ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, বুনয়ানুম মারসুস অভিযানের আওতায় তার জন্য দায়ী সকল ভারতীয় সামরিক স্থাপনা ও সক্ষমতায় সফলভাবে হামলা চালানো হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি, অস্ত্র-গোলাবারুদ ও সামরিক রসদ-সরঞ্জামের গুদাম ও আদামপুরের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে।
বুনয়ানুম মারসুসের আজকের অভিযান সফল করতে ফাতাহ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভারতীয় হামলায় শহীদ হওয়া পাকিস্তানি শিশুদের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। পাকিস্তান কখনো শাহাদাত বরণ করা এসব নিষ্পাপ শিশুদের ভুলবে না। ভারতকে তাদের আগ্রাসনের চড়া মূল্য দিতে হবে।