বুধবার | ১০ ডিসেম্বর | ২০২৫

গাজ্জায় বহু রাষ্ট্রের সহায়তায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইল: আলবানিজ

দুবছরেরও বেশি সময় ধরে গাজ্জায় বর্বর আগ্রাসন চালাচ্ছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র দখলদার ইসরাইল। তাদের স্থল ও আকাশপথের এসব হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি। যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। গাজ্জার এই বর্বরতার পেছনে দায়ী অনেক রাষ্ট্র। তাদের সহযোগিতায় গাজ্জায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইল। এমনটাই জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সামাজিকমাধ্যম এক্সে তিনি লেখেন, ‘দোহা ফোরামে আমি ইসরাইলি গণহত্যার বর্বরতার নিন্দা করেছি, যা অনেক রাষ্ট্রের সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছে।’

এ সময় তিনি এ গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেসব রাষ্ট্র বহুপাক্ষিকতার অবশিষ্টাংশ ধরে রাখতে চায়, তাদের দ্রুত নতুন জোট গড়ে তুলতে হবে। একইসঙ্গে নিপীড়নকারীদের কোণঠাসা করতে সত্যিকার অর্থেই ঐক্যবদ্ধ জোট হিসেবে দাঁড়াতে হবে।

‘গাজ্জা গণহত্যা : একটি সম্মিলিত অপরাধ’ নামে গত অক্টোবর মাসে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ফ্রান্সেসকা। সেখানে বলা হয়, ‘তৃতীয় রাষ্ট্রগুলো’ গাজ্জায় ইসরাইলি কর্মকাণ্ডে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বস্তুগত সহায়তা, কূটনৈতিক সুরক্ষা এবং কিছু ক্ষেত্রে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল তাদের।

এই যুদ্ধে হতাহতের পাশাপাশি গাজ্জা ভূখণ্ডকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। সে সঙ্গে বাস্তুচ্যুত করেছে লাখো বাসিন্দাকে।

এদিকে, গাজ্জায় গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই মামলায় অভিযুক্ত হয় ইসরাইল। যদিও চলতি বছরের ১০ অক্টোবর তিন দেশের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয় গাজ্জায়। কিন্তু সেই চুক্তি মূলত কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে। কারণ, যুদ্ধবিরতি লংঘন করে প্রতিদিনই সেখানে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। ফলে প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। যুদ্ধবিরতির প্রথম ৫০ দিনের পুরোটা সময়জুড়ে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ৩৫৭ ফিলিস্তিনি।

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img