পাকিস্তান তার সামরিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার মাধ্যমে ভারতকে অপ্রত্যাশিতভাবে চমকে দিয়েছিল। ফলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে বাধ্য হয় ভারত। এমন মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক প্রফেসর মাইকেল ক্লার্ক।
শনিবার (১০ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে ক্লার্ক বলেন, এই মুহূর্তে সবার দৃষ্টি জে-১০ যুদ্ধবিমানের দিকে। কারণ বিশ্ববাসী এখন জানতে পেরেছে, পাকিস্তান চীনা প্রযুক্তি-নির্ভর সরঞ্জাম ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। “ভারতীয়রা হয়তো পাকিস্তানের ব্যবহৃত সরঞ্জাম দেখে অবাক হয়েছে।”
ক্লার্ক আরো বলেন, “আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, পাকিস্তানের একটি জে-১০ যুদ্ধবিমান ভারতের একটি রাফাল যুদ্ধবিমানের ভূপাতিত করেছে। নিঃসন্দেহে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান তাদের এইচকিউ-৯ বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা হয়তো বেশ কার্যকর ছিল।”
তিনি বলেন, “তাই আমি মনে করি, পাকিস্তানের চীনা সরঞ্জামের সঙ্গে অর্জিত প্রযুক্তিগত দক্ষতা দেখে ভারতীয়রা অবাক হয়েছে, তবে তারা [জেনারেল আসিম] মুনিরের আক্রমণাত্মক মনোভাবে অবাক হয়নি, কারণ তারা এটি আশা করেছিল।”
ভারতের উদ্দেশ্য ছিল, পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে একটি শিক্ষা দেওয়া যে, ভারত যে কোন কিছুর জন্য প্রস্তুত। এমনকি তারা তাদের পশ্চিমাঞ্চলীয় নৌবহরের একটি বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করেছে।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান চতুর্থ দিনের হামলা ও পাল্টা হামলার পর “পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি”তে সম্মত হয়েছে।
সূত্র: জিও টিভি