ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল নেতাকর্মীদের দ্বারা সংঘটিত একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ‘ছত্রিশ জুলাই’ এর পুনরাবৃত্তির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর শহীদ জসিমের ওপর বর্বর হামলা ও লাশের ওপর নৃত্য করা কিংবা জনসম্মুখে সন্ত্রাসী আক্রমণে বিশ্বজিৎকে খুন করার বীভৎস দৃশ্য এখনো চোখে ভাসে। রাজনৈতিক সহিংসতার এ সংস্কৃতি একসময় শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ, এখন বিএনপি সেটাকেই আরও নিষ্ঠুরভাবে বহন করছে।’
শুক্রবার (১১ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ঢাবি শিবির সভাপতি লিখেন, ‘বিএনপি এই দেশে এমন এক ভয়াবহ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস কিংবা দলীয় দ্বন্দ্বে মানুষ খুন হওয়া এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই স্বাভাবিকতাকে মেনে নেওয়াই আমাদের সামষ্টিক পরাজয়ের প্রতিচ্ছবি।’
তিনি লেখেন, ‘আবারও কোনো এক ‘ছত্রিশে জুলাই’ হয়তো এই দেশটাকে বাঁচাতে আসবে! গতকাল যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুবদল নেতার সংশ্লিষ্টতার তথ্য উঠে আসার পর অনলাইনে কিছুটা ভিন্ন প্রেক্ষাপট ও মৃদু আলাপ শুরু হয়। আর আজকের দেশব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়ার মূল কারণ—ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া। ভিডিওটি না এলে, হয়তো এটিও অন্যান্য স্বাভাবিক খুনের মতো মানুষের স্মৃতি থেকে হারিয়ে যেত।’
ফরহাদ তার পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘যুবদল নেতার নেতৃত্বে সংঘটিত এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি প্রায় সব গণমাধ্যম ৯ জুলাই যেভাবে শিরোনাম করেছে, তাতে এটিকে ‘আধিপত্য বিস্তারের জের’ ধরে সংঘটিত একটি সাধারণ খুন বলেই উপস্থাপন করা হয়েছে।’
ফেসবুক পোস্টের শেষ অংশে এস এম ফরহাদ আবারও লেখেন, ‘আবারও কোনো এক ‘ছত্রিশে জুলাই’ হয়তো এই দেশটাকে বাঁচাতে আসবে!’