শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫

চারুকলায় আগুনে পুড়ল ফ্যাসিবাদের প্রতীক হাসিনার মুখাকৃতি, সন্দেহ নাশকতার

spot_imgspot_img

নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্য চারুকলায় তৈরি করা ফ্যাসিবাদের প্রতীক হিসেবে হাসিনার মুখাকৃতি ও শান্তির প্রতীক পায়রার মোটিফ আগুনে পুড়ে গেছে। আগুন নিছক দুর্ঘটনা, নাকি পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, তা নিয়ে উঠেছে গুরুতর প্রশ্ন।

শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অভ্যন্তরে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

ভোরবেলায় হঠাৎ আগুনে পুড়ে যায় চারুকলার নববর্ষ শোভাযাত্রার জন্য নির্মিত একাধিক প্রতীকী কাঠামো। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় “ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি”, যা স্পষ্টভাবে শেখ হাসিনার চেহারার অনুকরণে তৈরি করা হয়েছিল।আগুনে সেই মুখাকৃতি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়। পাশাপাশি পুড়ে যায় পাশে থাকা শান্তির প্রতীক পায়রার অর্ধেক অংশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, “ভোর ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এসময় দায়িত্বরত দুই সদস্য নামাজে ছিলেন, আর দারোয়ান ঘুমিয়ে ছিলেন। আমরা নিশ্চিত নই এটি দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত কোনো হামলা।”

তিনি আরও বলেন, “ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা ছিল, তবে পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ায় ফুটেজ এখনো দেখা যাচ্ছে না। আমরা বিকল্প উপায়ে ফুটেজ উদ্ধারের চেষ্টা করছি।”

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি হিসেবে শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি নির্মাণের খবরে আগে থেকেই শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রের শঙ্কা ছিল। শঙ্কা থাকলেও রাতভর কোনো প্রক্টরিয়াল টিম সেখানে উপস্থিত ছিল না। পুলিশও ছিল শুধু গেটের বাইরে।

প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “রাত ৮টার পর আমরা কেউ আর সেখানে ছিলাম না। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চারজনের কেউই ঘটনাস্থলে ছিলেন না।”

এ বিষয়ে পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই তারক কুমার হালদার বলেন, “আমি এই বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে জানানো হবে।”

শোভাযাত্রার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম শেখ বলেন, “ঘটনা কীভাবে ঘটেছে, তা জানতে ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। নিশ্চিত তথ্য পাওয়ার পর বলা যাবে।”

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img