বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ ফেরত আনতে ব্রিটেন সরকারের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টা জোরদার করেছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
স্থানীয় সময় বুধবার লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেন, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদি এবং জটিল। তাই এ কাজে গতি আনতেই অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করেছে।
প্রেস সচিব জানান, পাচার হওয়া সম্পদ ফেরত আনার বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সম্প্রতি ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইমস এজেন্সি (এনসিএ)-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
তিনি বলেন, পাচারের অর্থ শনাক্ত, কীভাবে পাচার হয়েছে তা খুঁজে বের করা ও জব্দ করার বিষয়ে ‘এনসিএ’-এর ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ বিষয়ে সংস্থাটি ইতোমধ্যে দুটি পদক্ষেপও নিয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, পাচারকৃত অর্থ কীভাবে ফেরত আনা যায় তা জানতে অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতাও যাচাই করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যেই একাধিক বৈঠক হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জনাথন পাওয়েলের সঙ্গেও এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।
শফিকুল আলম বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট, জাতীয় ঐকমত্য গঠনে বাংলাদেশের উদ্যোগ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়েও তারা আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে লন্ডন সফরে রয়েছেন দুদকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।