প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, পশ্চিমা সংস্কৃতির আধুনিকতার নামে বেহায়াপনার সংস্কৃতি পতিত আওয়ামী লীগ চালু করে শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় চিন্তাচেতনা ধ্বংসের চক্রান্ত করেছে। ফ্যাসিবাদের পতনের পর প্রশাসনের ভিতরে থাকা আওয়ামী দোসররা আওয়ামী লীগের নীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা ও চরিত্র নষ্ট করতে প্রাথমিক স্তরে গানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গানের শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। সব ধর্মের মানুষ চায় তার সন্তান ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করে একজন আদর্শিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক। তাই ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিভিন্ন ইসলামী দলের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় চিন্তাচেতনা ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নতুবা আলেম সমাজ চুপ করে বসে থাকবে না। ইসলাম বিদ্বেষী কোন কর্মকান্ড বরদাস্ত করা হবে না। ৫ আগস্ট পরবর্তী রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারের পাশাপাশি শিক্ষা সংস্কারের জন্য জামায়াতে ইসলামী মতামত ও পরামর্শ দিয়েছিল। আধুনিক ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর জন্য জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের সকল ইসলামী দল ও আলেম-ওলামা সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে, প্রস্তুত থাকবে। তবে সরকার যদি আগামী প্রজন্মের মেধা ও চরিত্র নষ্ট করার শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে চায় তাহলে ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে আলেম সমাজ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খেলাফতে আন্দোলন (একাংশ)-এর নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (একাংশ)-এর মহাসচিব মুফতী ফখরুল ইসলাম, খেলাফতে মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল জলিল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতী রেজাউল করিম আবরার, খেলাফতে আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব সেক্রেটারি মুফতী সুলতান মহিউদ্দিন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি ড.মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মুরশিদুল আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।