ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো ও দুর্গত মানুষদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দেশটির ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গনী বারাদার আখুন্দ।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আরটিএ
ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে শোক প্রকাশ করে মোল্লা বারাদার বলেন, “এই ভয়াবহ বিপর্যয়ে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া করছি।”
ইমারাত সরকারের পক্ষ থেকে শোকসন্তপ্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, “গত চার বছরে এ নিয়ে তৃতীয়বার আমাদের দেশবাসী ভয়াবহ ভূমিকম্পে বড় ধরনের প্রাণহানি ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হলো।”
তিনি আরও বলেন, “সীমিত সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ইমারাত সরকার সবসময় যথাসময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।”
ভূমিকম্প দুর্গতদের উদ্দেশে মোল্লা বারাদার বলেন, “ইমারাতে ইসলামিয়া আপনাদের পাশে আছে। সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে দ্রুত ত্রাণ সংগ্রহ করে স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।”
আফগান ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী দেশের ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও দাতব্য সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “কুনারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আপনাদের সহায়তা যেন অব্যাহত থাকে।”
পুনর্গঠন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ভূমিকম্পে ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণের উপযোগী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, “যেসব দেশ, দেশবাসী, জাতীয় ব্যবসায়ী ও দাতব্য সংস্থাগুলো দুর্গতদের সহায়তা করেছে, আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানাই যেন আফগানিস্তানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। এই নিষেধাজ্ঞা দুর্যোগপীড়িত আফগানদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো এবং অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তার সরকারি সফরের প্রসঙ্গ টেনে মোল্লা বারাদার বলেন, “যদি আমি ওই সফরে না থাকতাম, তাহলে ভূমিকম্পের প্রথম দিনেই আমি এই শোকাবহ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশবাসীর সঙ্গে সরাসরি অংশগ্রহণ করতাম।”
সূত্র: আরটিএ