ভারতের উত্তরাখণ্ডে ১৩টি মাদরাসা সিলগালা করে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি, প্রতিষ্ঠানগুলো রাজ্য সরকারের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে এবং উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা বোর্ড বা রাজ্য শিক্ষা বিভাগে এগুলো নিবন্ধিত নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে৷
রোববার (১৩ এপ্রিল) উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানি জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
হলদওয়ানির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিবেক কুমার দাবি করে বলেন, হলদওয়ানির ১৮টি মাদরাসা অবৈধ। ইতিমধ্যে ১৩টি মাদরাসা সিলগালা করা হয়েছে। এসব মাদরাসার নিবন্ধনের কোনও নথি ছিল না।
তিনি আরও বলেন, এই ‘অভিযান’ অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের প্রস্তাবে ভারতে গত ৫ এপ্রিল আইনে পরিণত হয়েছে ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল’। ইতিমধ্যেই দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে মুসলিমরা এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলছে, ওয়াকফ সম্পত্তির উপরে নিজের কর্তৃত্ব বাড়াতে এই আইন তৈরি করেছে সরকার। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এবং বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠন এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। তারা বলছেন, চরম বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস করে মুসলমানদের ওয়াকফকৃত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদরাসা ও এতিমখানাগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে দখলের পথ সুগম করছে সরকার।
এর আগে, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ‘অবৈধ’ মাদরাসার বিরুদ্ধে একটি দখল বিরোধী অভিযানের নির্দেশ দেন। গত ৯ জানুয়ারি, ধামির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, ‘বেআইনি’ মাদরাসা হোক বা দখল, এটি কোনোভাবেই উত্তরাখণ্ডে হওয়া যাবে না। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ সুপারিনটেনডেন্টরা যাচাইকরণ অভিযানটি তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা করবেন। তাদের তহবিল, লিঙ্ক এবং ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা করা হবে।
সূত্র: দ্য সিয়াসত ডেইলি