দেশের চার লাখ মসজিদের ইমাম ও ময়াজ্জিনদের সমাজের কল্যাণমূলক কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও আলোচিত ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ।
তিনি বলেন, এদেশের শহর-গ্রামে, পহাড়-সমতলে মানবদেহের শিরা-উপশিরার মতো প্রায় চার লক্ষ মসজিদের বিশাল বড় নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে আছে। সকল রাজনৈতিক দল কিংবা সরকারি অফিসের সংখ্যাও হয়তো এত বড় নয়। চার লক্ষ মসজিদে অন্তত আট লক্ষ ইমাম-মুয়াজ্জিন রয়েছেন। এই বিশাল বড় নেটওয়ার্ক এবং জনশক্তির সঠিক ও ইতিবাচক ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্র বহুবিধ বেনিফিট অর্জন করতে পারে।
বুধবার (১৪ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সরকার এই জনবল ব্যবহার করে দুর্যোগ মোকাবেলা, পরিবেশ সুরক্ষা, নাগরিক সেবা, স্থানীয় সরকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বিবাহ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন-সহ সমাজ কল্যাণমূলক অনেক কাজ করতে পারে। ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতি এই মাটির বাস্তবতা। মসজিদ এবং আলেমদের প্রতি মানুষের যে আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে, তা কাজে লাগাতে পারলে সমাজ ও রাষ্ট্র নিঃসন্দেহে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, এর জন্য সবার আগে প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। চার লক্ষ মসজিদের এই বিশাল অবকাঠামো, নেটওয়ার্ক এবং সম্ভাবনাময় জনশক্তিকে অবজ্ঞা করে একটা দেশের এগিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন। এই দেশের মানুষ শুক্রবারের ছুটির সকালে নির্ভার হয়ে বিশ্রাম নেয়। পুরো সপ্তাহের শরীরের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে। সাবান-শ্যাম্পু সমেত গোসল সেরে ইস্ত্রি করা কড়কড়া পাঞ্জাবি পরে মসজিদে যায়। সপ্তাহের সবচেয়ে ফ্রেশ সময়ে উৎসুক শ্রোতা হয়ে হাজির হয় জুমার নামাজে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রত্যেক মসজিদে যদি গড়ে দেড়শ মুসুল্লি উপস্থিত হন, তবে দেশের চার লক্ষ মসজিদে একত্রিত হন প্রায় ছয় কোটি মানুষ! আর তাদের পেছনে থাকে তাদের পরিবার। জুমার মিম্বারের মতো এত বড় মিডিয়া ব্যবহার করে কত কী না করা সম্ভব!