সোমবার | ১৫ ডিসেম্বর | ২০২৫

হাদিকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) হাদির চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড এ বিষয়ে বৈঠক করে। বৈঠকে হাদিকে বিদেশে নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে।

মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের রেসিডেন্ট চিকিৎসক ডা. মো. আব্দুল আহাদ বলেন, বোর্ডের সব সদস্য বৈঠকে ছিলেন। রোগীর কেস সামারি প্রস্তুত করে এরই মধ্যে বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক অথবা সিঙ্গাপুরের কোনো হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনো কোনো দেশ চূড়ান্ত হয়নি।

চিকিৎসকরা জানান, হাদিকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে দুটি বিষয়ের ওপর। এক, বিদেশি কোনো হাসপাতাল তার কেস গ্রহণ করে কি না। দুই, রোগীকে নিরাপদে বিদেশে নেওয়ার মতো শারীরিকভাবে স্থিতিশীল (স্টেবল) অবস্থা তৈরি হয় কি না। এই দুটি বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, হাদির শারীরিক অবস্থায় এখনো কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়নি। পরিস্থিতি আগের মতোই অত্যন্ত আশঙ্কাজনক হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে।

সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তার মস্তিষ্কের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ পাওয়া গেছে বলে জানান চিকিৎসকরা। ব্রেনে ব্যাপক ইডেমা (পানি জমা) রয়েছে, যার ফলে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি মস্তিষ্কের কিছু অংশে ছিটেফোঁটা রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণও পাওয়া গেছে। ক্লিনিক্যাল পর্যবেক্ষণেও অবস্থার কোনো উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি।

যেভাবে রাজনীতির লাইমলাইটে ওসমান হাদিযেভাবে রাজনীতির লাইমলাইটে ওসমান হাদি
চিকিৎসকদের মতে, ব্রেইন স্টেমের ইনজুরি এখনো গুরুতর পর্যায়ে রয়েছে। অপারেশন করা পাশ দিয়ে মস্তিষ্ক কিছুটা বাইরে দিকে চাপ দিচ্ছে। বর্তমানে হাদির সবচেয়ে বড় জটিলতা মস্তিষ্ক–সংক্রান্ত সমস্যাই বলে জানান তারা।

ফুসফুসের অবস্থায় তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনি এখনো লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন এবং যন্ত্রের সহায়তায় শ্বাস–প্রশ্বাস চলছে। তবে কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক রয়েছে। চিকিৎসকদের হিসাবে, প্রতিদিন প্রায় চার লিটার ইউরিন আউটপুট হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী শরীরের ফ্লুইড ব্যালান্স বজায় রাখা হচ্ছে।

এছাড়া অতিরিক্ত রক্ত জমাট বাঁধার জটিলতা, ডিসেমিনেটেড ইনট্রাভাসকুলার কোয়াগুলেশন (ডিআইসি)—এর অবস্থাও আগের মতোই রয়েছে। নতুন কোনো সংকট তৈরি হয়নি বলেও জানান চিকিৎসকরা।

spot_img
spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img