অবরুদ্ধ গাজ্জা উপত্যকায় পরিকল্পিতভাবে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো ধ্বংসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড ও যৌন সহিংসতা চালিয়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের দল এ তথ্য জানিয়েছেন।
পূর্ব জেরুসালেম এবং ইসরাইলসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল নিয়ে জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন জানায়, ইসরাইল গাজ্জায় ফিলিস্তিনিদের প্রজনন ক্ষমতা আংশিকভাবে ধ্বংস করেছে, জন্ম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে আরোপ করা ব্যবস্থাও এর অন্তর্ভুক্ত। এগুলো রোম সংবিধি এবং গণহত্যা বিষয়ক কনভেনশনে গণহত্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।
কমিশন জানিয়েছে, চিকিৎসা সরবরাহ সীমিত করার কারণে মাতৃমৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি, এই পদক্ষেপগুলি মানবতাবিরোধী অপরাধের সমান হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ইসরাইলী বাহিনীর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি নারীদের বিবস্ত্র করা ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে জেনেভায় কমিশন কর্তৃক আয়োজিত একাধিক শুনানির সময়, গাজ্জার একজন নার্স ইসরাইলি বাহিনী তাকে অপহরণ করার পর তাকে যৌন নিপীড়ন ও অত্যাচার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে বরাবরের মতোই নির্লজ্জ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইহুদিবাদীদের চিরাচরিত রীতি অনুসারে নিজেদের এসব অপরাধকে অস্বীকার করেছেন। জাতিসংঘের এমন গুরুতর অভিযোগগুলোকে পক্ষপাতদুষ্ট ও ইহুদি-বিদ্বেষী বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
নেতানিয়াহু বলেন, জাতিসংঘ আবারও মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ইসরাইল রাষ্ট্রের উপর আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।