মঙ্গলবার, জুন ২৪, ২০২৫

লন্ডনে ‘একান্ত বৈঠকের’ আলোচনা জাতির সামনে পরিষ্কার করতে হবে: চরমোনাই পীর

spot_imgspot_img

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক দেশের রাজনীতিতে কিছু সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এই বৈঠক রাজনীতিতে এক ধরনের অস্বস্তিও তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী রেজাউল করীম চরমোনাই পীর।

তিনি বলেন, বিশেষত দুই পক্ষের প্রতিনিধিসহ বৈঠকের পরে দুই নেতার একান্ত বৈঠক রাজনীতিতে কিছু প্রশ্ন তৈরি করেছে। আগামী রাজনীতির স্বাচ্ছন্দের জন্য এবং দলগুলোর অস্বস্তি দুর করতে একান্ত বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত জাতির সামনে উপস্থাপন করা উচিৎ বলে মনে করে তিনি।

আজ রবিবার (১৫ জুন) পুরানা পল্টন দলের অফিসে সিনিয়র দায়িত্বশীলদের সঙ্গে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি বহুদলীয় রাজনীতি। বিগত ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াই দেশের বহুসংখ্যক রাজনৈতিক সংগঠন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অংশ নিয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণে সকলকে সমান গুরুত্ব ও মর্যাদা প্রদান করা নৈতিক কর্তব্য। লন্ডন বৈঠকের চরিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অবমূল্যায়নের ধারণা জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন আয়োজনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নানা রকম দাবী থাকা সত্যেও সব উপেক্ষা করে প্রধান উপদেষ্টা ঈদের আগের দিন জাতীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে একটা সংক্ষিপ্ত সময়সীমা ঘোষণা করেছিলেন। জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষনে যে সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে তা একটি একান্ত বৈঠকের পরে পুনর্বিবেচনা করার যৌথ ঘোষণা দেওয়া- রাজনীতিতে অস্বস্তি তৈরি করেছে। সুস্থ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতি নির্মাণের স্বার্থেই এই অস্বস্তি দুর করা উচিৎ।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার ও পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিত করার দাবী পুনর্ব্যক্ত করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। নির্বাচনের ডামাঢোলে সংস্কার ও বিচার যাতে আড়াল না হয় সেদিকে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এখন দেশকে ভবিতব্য সকল স্বৈরতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করতে সাংবিধানিক সংস্কারে- সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের সাথে আপনাদের সহযোগীতা কামনা করছি। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, এনসিসি গঠন, সংসদীয় কমিটির প্রধান বিরোধীদল থেকে দেওয়াসহ স্বৈরতন্ত্র প্রতিরোধে যেসব সতর্কতামূলক আইনী প্রতিবন্ধকতা প্রস্তাব করা হয়েছে তাকে বিএনপি সমর্থন করবে বলে আশা করছি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img