আলেম-ওলামার প্রতি বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের অবমাননাকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে সে বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সাধারণ আলেম সমাজ।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
সাধারণ আলেম সমাজের বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা সাধারণ আলেম সমাজ দেশের ওলামায়ে কেরাম, মাদরাসার ছাত্রসমাজ এবং লাখ লাখ ঈমানদার তৌহিদি জনতার পক্ষ থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কথিত উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের প্রকাশ্যে টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে প্রদত্ত অবমাননাকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে গভীর ক্ষোভ, তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “ফজলুর রহমান কেবল আলেম-ওলামার বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যপূর্ণ, বিদ্বেষী ও অজ্ঞতাপূর্ণ মন্তব্য করেই থেমে থাকেননি, বরং আলেম সমাজকে গর্ভে ধারণকারীহাজারও গর্বিত মায়ের প্রতিও ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছেন। প্রকাশ্যে এ ধরনের কটূক্তিপূর্ণ মন্তব্য শুধু অশালীন ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত নয়, বরং এটি গোটা ধর্মপ্রাণ জাতির আত্মমর্যাদার ওপর আঘাত।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, একজন দাম্ভিক ও বিকৃতমনা ব্যক্তি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদের মর্যাদা নষ্ট করছেন। তার এই ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের দায় দলীয়ভাবে প্রত্যাখ্যান না করলে বিএনপিকেও এই ঘৃণ্য মানসিকতার শরিক হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
সাধারণ আলেম সমাজ স্পষ্ট ভাষায় বলে, ফজলুর রহমানকে তার দল বিএনপি থেকে বরখাস্ত করবে কি করবে না, সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। কিন্তু তিনি যদি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে জনসমক্ষে ক্ষমা না চান, তাহলে ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীর বৃহৎ সমর্থন পেয়ে জনপ্রিয় হওয়া বিএনপি আলেম-ওলামার সমর্থন হারাবে।
বাংলাদেশ একটি ধর্মপ্রিয় জাতির দেশ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এখানে আলেম-ওলামা ও তাদের মায়েদের অসম্মান করে কেউ রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারবে না। এই সত্য সকলের মনে রাখা উচিত।