১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে আমেরিকা ও ন্যাটোকে পরাজিত করে তালেবানের নেতৃত্বাধীন সরকারের ক্ষমতায় ফেরার বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। রাজধানী কাবুলসহ বিভিন্ন প্রদেশে কালেমার পতাকা উত্তোলন, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নানা আয়োজনে দিনটি পরিণত হয় উৎসবে।
কাবুলের প্রধান সড়ক ও ভবনগুলো কালেমার পতাকায় সাজানো হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের হেলিকপ্টার থেকে আকাশে ছিটানো হয় ফুল। সকাল থেকে রাজধানীর রাস্তায় সাধারণ মানুষ শোভাযাত্রা আর পতাকা মিছিলে যোগ দেন।
কান্দাহার, খোস্তসহ প্রাদেশিক শহরগুলোতেও বিজয় দিবস উপলক্ষে জনসমাবেশ ও সাংস্কৃতিক আয়োজন হয়। তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এসব অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
এছাড়া রাজধানীতে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও তালেবানের শীর্ষ নেতারা। বীজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে আমীরুল মু’মিনীন বা সর্বোচ্চ নেতা শাইখুল হাদিস মাওলানা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ঘোষণা করেন, তালেবানের নেতৃত্বাধীন সরকারকে আর “তত্ত্বাবধায়ক বা অস্থায়ী” বলা হবে না।
তিনি বলেন, “আল্লাহর সাহায্যে আমেরিকা ও তাদের মিত্রদের দখল থেকে আফগানিস্তান মুক্ত হওয়ার চার বছর পূর্ণ হলো। আফগানরা প্রায় পঞ্চাশ বছরের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের পর দেশে শরীয়াহভিত্তিক একটি পবিত্র শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, দখল শেষ হওয়ার পর দেশে সর্বাত্মক শান্তি ফিরে এসেছে। জনগণ দুর্নীতি, জুলুম, দখল, মাদক, চুরি ও লুটপাট থেকে মুক্তি পেয়েছে। শরীয়ার ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থায় দেশ এগোচ্ছে। পুনর্গঠন ও উন্নয়নের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। ভাষা, জাতি ও রাজনৈতিক বিভাজনও কাটিয়ে উঠেছে জনগণ।
তিনি সতর্ক করে বলেন, এসব মহান নেয়ামতের জন্য আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করতে হবে। অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহর কঠিন শাস্তি নেমে আসতে পারে।
তিনি সরকারের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “সবসময় জিহাদের পথে শাহাদাত বরণকারীদের পরিবারকে স্মরণে রাখতে হবে এবং এতিমদের লালানপালন ও সুরক্ষায় বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।”
আমীরুল মু’মিনীন স্পষ্ট ঘোষণা দেন, “ইমারাতে ইসলামিয়ার মন্ত্রী ও কেবিনেটের জন্য আর অস্থায়ী বা তত্ত্বাবধায়ক শব্দ ব্যবহার করা হবে না। তাদের দায়িত্ব হবে শরীয়াহর শাসনকে সুদৃঢ় করা এবং জনগণের শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করা।”
তিনি দোয়া করেন, আল্লাহ যেন আফগানিস্তানকে চিরকাল শরীয়াহভিত্তিক ব্যবস্থায় সমৃদ্ধ রাখেন, শত্রুদের থেকে রক্ষা করেন এবং মুসলিম উম্মাহকে ঐক্য দান করেন। পাশাপাশি তিনি ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পূর্ণ বিজয় কামনা করেন।
বীজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে আফগান প্রধানমন্ত্রী মোল্লা হাসান আখুন্দ বলেন, “১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের মুজাহিদ জাতির জন্য এক গৌরবময় ঐতিহাসিক দিন। এ দিনে আল্লাহ তাআলা আমেরিকা ও ন্যাটোর মতো দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে আফগানদের বিজয় দান করেছেন।” তিনি বলেন, “এ বিজয় প্রমাণ করেছে যে ঈমান ও আধ্যাত্মিকতা বস্তুবাদী শক্তির ওপরে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।”
আফগান প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৫ আগস্ট শুধু আফগান জাতির নয়, পুরো মুসলিম উম্মাহর জন্যও গৌরবময় দিন। দীর্ঘ ২০ বছরের আত্মত্যাগের পর মুজাহিদরা বিজয়ী ভঙ্গিতে রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করেন।” তিনি এই ঐতিহাসিক দিন উপলক্ষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে অভিনন্দন জানান।
তিনি দোয়া করে বলেন, “আল্লাহ তাআলা যেন শহীদদের শাহাদাত, আহতদের কষ্ট, বন্দিদের দুর্ভোগ ও মুজাহিদদের পরিশ্রম কবুল করেন এবং তা আখিরাতের রিজিক বানান।”
মোল্লা হাসান আখুন্দ বলেন, “২০ বছরের জিহাদ ইসলামের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়, যেখান থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা পাবে।”
তিনি বলেন, “আমেরিকার আফগানিস্তানে পরাজয় প্রমাণ করেছে যে ঈমান ও আধ্যাত্মিকতা বস্তুবাদের ওপর বিজয়ী। আল্লাহ তাআলা হাতেগোনা কিছু মুজাহিদ ও খালি হাতের জনগণকে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত শক্তির ওপর বিজয় দান করেছেন। এটি ছিল আল্লাহর সাহায্যের সুস্পষ্ট নিদর্শন।”
আফগান প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, “জিহাদের বিজয়ের সঙ্গে দায়িত্ব শেষ হয়নি। এখন ইসলামী শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করা, দেশ উন্নত করা, জনগণের জীবন-মাল-ইজ্জত রক্ষা এবং অতীত যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি পূরণের দায়িত্ব আমাদের।”
তিনি আরও বলেন, “আল্লাহ তাআলা যে সুযোগ দিয়েছেন তা কাজে লাগাতে হবে। ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা, শান্তি-স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং দেশের বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক উন্নয়ন ঘটানো জরুরি। এর মাধ্যমেই শহীদ, বিধবা, এতিম ও যোদ্ধাহতদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পাবে।”
আফগান প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আবারও বিজয় দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন জানাই এবং দোয়া করি, আল্লাহ তাআলা যেন আফগান জনগণ ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে দুঃখ-কষ্ট থেকে নিরাপদ রাখেন। আরও দোয়া করি দখলদার অত্যাচারী শক্তিগুলো যেন বিশ্বব্যাপী লাঞ্ছিত হয়, যেমনভাবে তারা আফগানিস্তানে পরাজিত হয়ে পলায়ন করেছে।”
বীজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানী কাবুলের লোয়া জিরগা হলে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতা-মন্ত্রীরা।
বক্তব্যে আফগানিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মাওলানা আব্দুস সালাম হানাফী বলেন, দেশে বসবাসরত সব আফগানের জীবন ও সম্পদ নিরাপদ এবং ইমারাতে ইসলামিয়া সবার অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি জানান, সাধারণ ক্ষমার আওতায় পূর্ববর্তী প্রশাসনের কর্মকর্তারাও নিরাপদে বসবাস করছেন।
মাওলানা হানাফী বলেন, দেশের ভেতরে বসবাসরত সব আফগানের জীবন ও সম্পদ নিরাপদ রয়েছে। ইমারাতে ইসলামিয়া নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আফগান ভূমি অন্য কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ ক্ষমার ফরমান অনুযায়ী পূর্ববর্তী প্রশাসনের কর্মকর্তারা দেশে নিরাপদে বসবাস করছেন। তাদের অধিকার রক্ষা করা হচ্ছে এবং অতীতের বিরোধকে কেন্দ্র করে কাউকে হয়রানি করতে দেওয়া হবে না।
মাওলানা হানাফী জানান, পূর্ববর্তী সেনাদের এতিম সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব ইমারাতে ইসলামিয়া নিয়েছে এবং তাদের শিক্ষার জন্য বিশেষ কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে।
আফগান ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী জানান, গত তিন বছরে প্রতিবেশী ও ইউরোপীয় দেশ থেকে ৩০ লাখের বেশি শরণার্থী দেশে ফিরেছে। এদের জন্য ২৫টি প্রদেশে প্রায় ৩৫টি আবাসন নগরী নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বিদেশে থাকা আফগানদের প্রতিও আহ্বান জানান, তারা যেন দেশে ফিরে এসে আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে অংশ নেয়।
তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক বিরোধ বা অতীত শত্রুতার নামে কোনো জুলুম বরদাশত করা হবে না। যদি এমন ঘটনা ঘটে, তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই গণ্য হবে এবং অপরাধীরা যেখানে থাকুক না কেন তাদের ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।”
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খলিফা সিরাজুদ্দিন হক্কানী বলেন, এখন একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী শাসনব্যবস্থা চালু আছে এবং কারও অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য আর জবাবদিহি করতে হবে না। তিনি বিদেশে থাকা আফগানদের দেশে ফিরে এসে সম্মানের সাথে বসবাসের আহ্বান জানান।
খলিফা হক্কানী বলেন, “আমাদের জিহাদের লক্ষ্য ছিল দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো এবং দেশে ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি নয়। যে স্বাধীনতা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক নয়, ইমারাতে ইসলামিয়া তার সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবাইকে সতর্ক করে বলেন, বিজয়ের দিন উদযাপন করতে হবে বিনয়ের সাথে এবং অতীতের কষ্ট ভুলে যাওয়া যাবে না। তিনি স্বীকার করেন, সামনে আরও উন্নতির পথ বাকি আছে এবং সে জন্য ধৈর্য ও সহনশীলতার প্রয়োজন।
তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। দেশে একটি দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা রয়েছে এবং মানুষের চাহিদা সময়মতো পূরণ হচ্ছে।
সিরাজুদ্দিন হক্কানী ১৫ আগস্টকে আফগান জনগণের ত্যাগের ফল আখ্যায়িত করে বলেন, স্বাধীনতা এক মহৎ নিয়ামত, যারা দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেছে তারাই এর আসল মূল্য বোঝে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ইমারাতে ইসলামিয়ার মুজাহিদরা বাস্তবে নিজেদের প্রমাণ। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, কাউকেই দেশ বিভক্ত করার সুযোগ দেওয়া হবে না। খলিফা হক্কানী আবারও জোর দিয়ে বলেন, “আফগানিস্তান কোনো দেশের জন্য হুমকি নয়।”
আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলানা আমীর খান মুত্তাকী বলেন, “আমাদের আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক থাকা মানে এই নয় যে আমরা পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের বিরোধী। অন্যরা যোগাযোগে দ্বিধাগ্রস্ত হলে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। তবে আমাদের কূটনীতিকরা ইতিমধ্যেই কিছু ইউরোপীয় দেশে সফর করেছেন।”
তিনি বিদেশে থাকা আফগানদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যেন “ভ্রম ও মিথ্যা আশা” ত্যাগ করে দেশে ফিরে আসেন। তিনি ঘোষণা দেন, “আফগানিস্তান এখন সত্যিই সব আফগানের জন্য একটি অভিন্ন ঘর।”
তিনি উল্লেখ করেন, সরকারের সব ধরনের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট এখন সম্পূর্ণরূপে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব থেকে পূরণ করা হচ্ছে। এভাবে দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়েছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, শত শত মাদরাসা ও বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটিতে, যার মধ্যে ২৮ লাখ নারী শিক্ষার্থী রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সম্পত্তির মূল্যবৃদ্ধি দেশের স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তার প্রতি জনআস্থার প্রমাণ।
মাওলানা মুত্তাকী বলেন, তালেবান পুনরায় ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে দেশে অন্যায় ও অবিচারের পথ রোধ করা হয়েছে। তিনি ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট কাবুল বিজয়কে সমগ্র জাতির বিজয় আখ্যায়িত করে বলেন, আফগান জনগণ খালি হাতে অসংখ্য ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেছে এবং বর্তমানে দেশে ইসলামী শরিয়াহ কার্যকর করা হচ্ছে।
তিনি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা, ইসলামী শরিয়াহর বাস্তবায়ন, পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সুদৃঢ়করণকে গত চার বছরে ইমারাতে ইসলামিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, একটি ঐক্যবদ্ধ সামরিক বাহিনী গঠন, ক্ষমতার কেন্দ্রগুলো ভেঙে দেওয়া, মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব থেকে বাজেটের যোগান এবং আফগানি মুদ্রার স্থিতিশীলতা রক্ষা, এসবই ইমারাতে ইসলামিয়ার বড় অর্জন।
আফগানিস্তানের সংস্কৃতি উপমন্ত্রী মাওলানা আতীকুল্লাহ আজিজী বলেন, “আফগানদের ২০ বছরের জিহাদ ইতিহাসের পাতায় সম্মান, বীরত্ব ও ঈমানি দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে।”
মাওলানা আজিজী বলেন, আফগানদের দীর্ঘ ২০ বছরের জিহাদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দৃঢ়তা, স্বাধীনতা, আত্মত্যাগ এবং আল্লাহর সাহায্যের অনুপ্রেরণা দেবে।
তিনি ১৫ আগস্টকে ঐতিহাসিক ও গৌরবময় দিন আখ্যায়িত করে বলেন, “এ দিনে আল্লাহ তাআলা আফগানিস্তানের বিজয়ী ও মুজাহিদ জাতিকে দীর্ঘ সংগ্রামের পর দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে বিজয় ও মর্যাদা দান করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “সেদিন মুজাহিদরা বিজয়ী পদক্ষেপে কাবুলে প্রবেশ করে এবং দখলদারিত্বের কালো অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে।” তিনি দেশের সর্বত্র ইসলামী শাসনব্যবস্থা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।