সাম্প্রতিক ভারতে হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের মসজিদে নামাজ পড়তে বাঁধা দেয়া এবং হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেছেন, রতকে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান করতে হবে। সংখ্যালঘু মুসলমানদের সাথে ভারতের এই আচরণ সভ্যতার জন্য লজ্জাজনক।
আজ সোমবার (১৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে মাওলানা ইউনুস বলেন, নামাজের মতো একটি একান্ত ও প্রাত্যহিক ইবাদতও এখন ভারতে আদায় করা যায় না। প্রায়শই নামাজরত মুসলমানদের ওপরে হামলার সংবাদ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, মুসলমানদের নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টি ভারতের অস্তিত্বের সাথে সম্পৃক্ত। ভারত স্বাধীন করতে উলামায়ে কেরাম ও মুসলমানদের অবদান ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। সেই ভারতে বিজেপি শাসনামলে যেভাবে মুসলমানদেরকে সহিংসতার লক্ষবস্তুতে পরিনত করা হয়েছে তা সভ্যতার এই উৎকর্ষের কালে কল্পনাও করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, ভারতের মুসলিমরাই শুধু নয় বরং ভারতে খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও পাহাড়ি জনতাও উগ্র হিন্দুত্ববাদী সহিংসতার শিকার, যার বিস্তার ঘটিয়েছে শাসক গোষ্ঠি বিজেপি। বিজেপি যেভাবে ধর্মকে সহিংসতার উপলক্ষ বানিয়েছে, হিন্দু ধর্মমতেও তা সিদ্ধ না। এজন্য ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের বিজেপির সহিংসতার নিন্দা করা উচিৎ।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব গর্বের সাথে উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশে হিন্দু আর মুসলমান মিলে-মিশে একটি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এখানে হিন্দুদের উৎসবে মুসলমানরা অনুকুল পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছে আর মুসলমানদের ইবাদতে হিন্দুরা সহযোগীতামূলক আচরন করছে। এভাবেই আসলে সভ্যতা টিকে থাকে।