শনিবার | ১৮ অক্টোবর | ২০২৫

রাকসুর ফলাফল ঘোষণার সময় শাহবাগীদের বিচার চেয়ে স্লোগান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেখা গেছে উচ্ছ্বাস ও নানা স্লোগানের ধুম।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম।

আনুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা গেছে, ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাহউদ্দিন আম্মার, এবং এজিএস পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের এস এম সালমান সাব্বির। এর আগে অনানুষ্ঠানিক ফলাফলেও তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল।

রাকসুতে মোট ২৩টি পদের মধ্যে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ২০টিতে জয়ী হয়েছে। ফলাফল ঘোষণার সময় নির্বাচিত প্রার্থীরা আনন্দে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। সমর্থকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে ধাপে ধাপে নানা স্লোগান দেন। তাদের মধ্যে শোনা যায়-

“নোমানীর রক্ত, বৃথা যেতে দেব না, বৃথা যেতে দেইনি, নোমানীর রক্ত!”
“আসলামের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না!”
“বিচার বিচার বিচার চাই, শাহবাগীদের বিচার চাই!”
“ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ!”
“ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর, পোষ্য কোটা নো মোর!”
“ফ্রম দ্যা রিভার, টু দ্যা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি!”
“বিচার বিচার বিচার চাই, খুনি হাসিনার বিচার চাই!”

শহীদ শরীফুজ্জামান নোমানী ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা ও কর্মী। শিক্ষার্থীদের অধিকার ও বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু সামাজিক ও শিক্ষাবান্ধব কর্মসূচিতে যেমন রক্তদান, শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক বিতরণ ও অনাথ ও দুস্থদের সহায়তা তার ভূমিকা ছিল। ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর নৃশংস হামলায় তিনি শহীদ হন। রাকসুতে শিবিরের ভূমি ধ্বস বিজয়ে শিক্ষার্থীরা তাকে স্লোগান দিয়ে স্মরণ করেন।

ফলাফল ঘোষণার সময় শিক্ষার্থীদের এই উচ্ছ্বাস ও স্লোগান প্রকাশ করে দেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সচেতনতা এবং সামাজিক ইস্যুতে তাদের দৃঢ় মনোভাব।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img