জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির ফাঁসির দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে জড়ো হয়েছেন শহীদ পরিবারের অনেক সদস্য এবং আহতরা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথমে ট্রাইব্যুনালের গেটে অবস্থান নেন তারা। এরপর ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় তারা শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করেন।
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ঘোষিত রায় সরাসরি দেখতে পাবেন দেশ বিদেশের দর্শকরা। রায় ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচার করবে রাষ্ট্রীয় চ্যানেল বিটিভি। সেখান থেকে ফুটেজ নিয়ে বেসরকারি চ্যানেলগুলোও সম্প্রচার করতে পারবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সও রায় ঘোষণা সম্প্রচার করবে।
এদিকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বড় পর্দায় এ বিচারকাজ দেখানো হবে। ইতোমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বড় পর্দার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিচারকাজ সরাসরি দেখাতে এরই মধ্যে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছেছে বিটিভির বিশেষ টিম। মূল ফটকের বাইরে অপেক্ষমাণ রয়েছেন দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা।
সোমবার বেলা ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ রায় ঘোষণা করা হবে।
সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপেক্ষমাণ রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়ানো হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ-র্যাব, এপিবিএন-বিজিবির পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী। তৎপর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও।









