ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করীম বলেছেন, পিআর নিয়ে আমরা বহু বছর ধরে আন্দোলন করে আসছি। কথা বলেছি। দেশের অধিকাংশ মানুষ পিআর চায় মর্মে একাধিক জরিপে উঠে এসেছে। এখন পিআর নিয়ে আমরা রাজপথে আন্দোলন করতে চাই না। বিএনপি যদি জনতার ওপরে আস্থা রাখতে পারে তাহলে পিআরে তাদের সমস্যা কি? তারা ৯০% ভোট পেয়ে ২৭০ আসন নিয়ে এককভাবে দেশে পরিচালনা করুক; আমাদের তো সমস্যা নাই। বিএনপি জনতার ওপরে আস্থা রাখতে পারছে না কেন? আপনারা পিআর প্রশ্নে গণভোট দেন। জনতা যদি পিআরের পক্ষে মত না দেয় তাহলে আমরাও আর দাবী করবো না।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, এতো রক্ষক্ষয়ী একটি গৌরবময় গণঅভ্যুত্থানের পরে জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি নিশ্চিত করা, হত্যাকারীর বিচার করা এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের উৎপাত বন্ধ করার মতো গণদাবী নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করা লাগবে তা চিন্তাও করি নাই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবী স্পষ্ট। সংস্কার করতে হবে, জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি দিতে হবে, বিচার দৃশ্যমান হতে হবে এবং পিআরে নির্বাচন হতে হবে। এটা জনতার দাবী। কেন আপনারা এই দাবী মানছেন না? সমস্যা কোথায়? নাকি ভারত চায় না বলে জুলাইয়ের আইনী স্বীকৃতি দিতে ও বিচার করতে গড়িমসি করছেন? সংস্কার ও বিচারের আগেই যদি নির্বাচন র্নিবাচন করেন তাহলে আমরা ধরে নেবো সরকার কোন দল বিশেষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন।
ফয়জুল করীম বলেন, যুগপৎ আন্দোলন হলো, একই দাবীতে যার যার মতো আন্দোলন করা। যুগপৎ আন্দোলন কারো নেতৃত্বে হয় নয়। কিন্তু কেউ কেউ এই যুগপৎ আন্দোলনকে বিশেষ কোন দলের নেতৃত্বে বলে বর্ণনা করছেন। এটা যথার্থ না। সংবাদ প্রচারে আরো সতর্ক হতে হবে সাংবাদিকদের।
মাধ্যমিকে গানের শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রাইমারি স্কুলের পড়াশোনার মান খুবই খারাপ। সেখানে ভাষা, বিজ্ঞান, গনিত ও তথ্য-প্রযুক্তির শিক্ষক নিয়োগ না করে গানের শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার বিষয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।