ফিলিস্তিনের গাজ্জায় চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও হত্যাযজ্ঞ থামায়নি ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলি বাহিনী।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) উপত্যকার পূর্বাঞ্চলীয় আল-জেইতুন এলাকায় হামলা চালিয়ে একই পরিবারের ১১ জনকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এদের মধ্যে সাত জনই ছিল শিশু এবং তিনজন নারী।
প্রায় ১১ দিন আগে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির এটি ভয়াবহ লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে গাজ্জার সিভিল ডিফেন্স।
তারা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজ্জা শহরের জেইতুন এলাকায় কোনো সতর্কতা ছাড়াই আবু শাবান পরিবারকে বহনকারী একটি বেসামরিক গাড়ি লক্ষ্য করে ইসরাইলি বাহিনী ট্যাঙ্ক থেকে গুলি চালায়।
গাজ্জার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এক বিবৃতিতে বলেন, পরিবারটি যখন তাদের বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, তখন ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাড়িটিতে গুলি ছোড়ে। নিহতদের মধ্যে সাতজন শিশু ও তিনজন নারী ছিলেন।
তিনি বলেন, তাদের (পরিবারটিকে) সতর্ক করা বা অন্যভাবে পদক্ষেপ নেয়া যেত। যা ঘটেছে তা নিশ্চিত করে যে দখলদাররা এখনও রক্তপিপাসু ও নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ করতে বদ্ধপরিকর।
এক বিবৃতিতে হামাস গাজ্জায় শাবানের পরিবারের ওপর ইসরাইলি হামলাকে নৃশংস বলে আখ্যা দিয়েছে। হামাস বলছে, কোনো কারণ ছাড়াই পরিবারটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। তারা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, ইসরাইলকে যেন যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য করেন।
হামাস জানায়, ওই হামলায় ইসরাইলি সেনারা ‘ইয়েলো লাইন’ নামে পরিচিত সীমারেখা অতিক্রম করা বেসামরিকদের ওপর গুলি চালায়। যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ইসরাইলি সেনাদের ওই লাইন থেকে সরে যাওয়ার কথা।
আল জাজিরার গাজ্জা প্রতিনিধি হিন্দ খুদারি জানিয়েছেন, অনেক ফিলিস্তিনির ইন্টারনেট সংযোগ নেই, ফলে তারা জানেন না ইসরাইলি বাহিনী কোন কোন সীমারেখায় এখনো অবস্থান করছে। এতে সাধারণ মানুষ ও পরিবারগুলো ঝুঁকিতে পড়ছে।