সোমবার, মে ১৯, ২০২৫

বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

spot_imgspot_img

বিতর্কিত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া ১০টির মতো প্রস্তাবনা সরাসরি কুরআনের বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নারী কমিশনের এই সংস্কার প্রস্তাব প্রমাণ করে, এটা পতিত ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের পক্ষের একটি বিশেষ গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের দলিল! সুতরাং এ প্রস্তাবনা শুধু বাতিলই নয়, পুরো ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন’ বাতিল করতে হবে।

রবিবার (১৭ মে) বিকেলে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন বক্তারা। খুলনা মহিলা ফোরামের ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন, কমিশনের বেশ কিছু সুপারিশ বাংলাদেশের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে রাষ্ট্রের দ্বান্দ্বিক অবস্থান তৈরি করবে। “সমাজ বনাম রাষ্ট্র” এবং “ধর্ম বনাম নারী”কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে এ বিতর্কিত প্রতিবেদন। কমিশনের প্রস্তাবিত প্রতিবেদনের পাতায় পাতায় ধর্মকে নারী বৈষম্যের কারণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। দেশের সকল সচেতন নারী সমাজ প্রস্তাবিত এ সুপারিশকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

খুলনা মহিলা ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখিয়া বেগমের সভাপতিত্বে মানববন্ধন পরিচালনা করেন, সদস্য সচিব ফাতমা হক লাকি।

আরও বক্তব্য রাখেন, নারী নেত্রী ডাক্তার রুখসানা সুলতানা, ফাতিমা বেগম, নাজমুন্নেসা, সাইয়েদা নাসরিন সুলতানা রোজী, রেবেকা সুলতানা, সালমা আতিকা, শাহানারা বেগম, দোররোশ শাহার লাকি, নাসরিন জামান, সাহিদা খাতুন প্রমুখ।

বক্তারা আরও বলেন, ১৭টি অধ্যায়ে ৪৩৩টি সুপারিশ সম্বলিত ৩০০ পৃষ্ঠারও অধিক এ সংস্কার প্রতিবেদন পড়ে মনে হয়েছে যে, নারী সমতা, নারী উন্নয়ন ও নারী ক্ষমতায়নের মুখরোচক শব্দ দিয়ে তারা এ দেশের নারী সমাজকে বিভ্রান্ত করতে চায়। নারীদের পুরুষের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। কমিশনের প্রস্তবনাগুলো জাতিকে চূড়ান্ত বিভাজনের দিকে ঠেলে দেওয়ার সুদূরপ্রসারী একটি উদ্যোগ। এই কমিশনে সমাজের সকল শ্রেণি পেশার নারীদের প্রতিনিধিত্ব ও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হয়নি।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img