মুসলিম শিক্ষার্থীরা সকালের প্রার্থনায় কুরআন তেলাওয়াত করার ভারতের আসাম রাজ্যের বঙ্গাইগাঁও জেলার একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনা সামনে আসতেই মুসলিম সমাজে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বলছে, মুসলিম এলাকায় মুসলিম শিক্ষার্থীদের কুরআন পড়া কোনো অপরাধ নয়।
সোমবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এক্স-এ (টুইটার) জানান, বঙ্গাইগাঁওয়ের পশ্চিম ভদ্রাহাওঁ লোয়ার প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘটনার শুরু একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা সকালের প্রার্থনায় সূরা ফাতিহা পাঠ করছে। পরে শিক্ষা দপ্তর তদন্ত করে জানায়, স্কুলটিতে প্রতিদিন এভাবে কুরআন তেলাওয়াত হতো।
স্কুলটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় মুসলিম শিশুরা নিয়মিত কুরআন পড়ত। কিন্তু রাজ্য সরকার এটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ব্যবস্থা নেয়। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা লিখেছেন, “বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা স্কুলে কোনো ধরনের মৌলবাদ ঢুকতে দেব না।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে আপত্তি জানাচ্ছেন। তাদের বক্তব্য, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় মুসলিম শিক্ষার্থীরা কুরআন পড়লে সেটি স্বাভাবিক ধর্মীয় অনুশীলন। কেউ কেউ বলেছেন, ছোটবেলায় তারা নিজেরাও স্কুলে হনুমান চালিশা বা অন্যান্য ধর্মীয় গান পড়েছেন, কিন্তু তখন সেটিকে কখনো “র্যাডিকালাইজেশন” বলা হয়নি। তাহলে কেবল মুসলিম শিশুদের কুরআন পড়া কেন অপরাধ হিসেবে দেখা হলো, এ প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
সূত্র: মুসলিম মিরর