সোমবার | ২০ অক্টোবর | ২০২৫

ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকা, রাস্তায় লাখো মানুষ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতি ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের অভিযোগে আমেরিকাজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। “নো কিংস” নামের এই আন্দোলনে নিউইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস পর্যন্ত লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো, মায়ামি ও লস অ্যাঞ্জেলেসসহ দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যজুড়ে অনুষ্ঠিত এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে বিক্ষোভকারীরা একক বার্তা দেন, আমেরিকায় কোনো রাজা চলবে না, দেশকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে যেতে দেওয়া হবে না।

নিউইয়র্কের বিখ্যাত টাইমস স্কোয়ারে সকালেই হাজারো মানুষ জড়ো হন। রাস্তাঘাট ও সাবওয়ের প্রবেশমুখও ছিল উপচে পড়া ভিড়ে পরিপূর্ণ। অনেকেই হাতে প্ল্যাকার্ড ধরে রেখেছিলেন। এর মধ্যে ‘গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র নয়’ এবং ‘সংবিধান ঐচ্ছিক কোনও বিষয় নয়’ লেখা পোস্টারও ছিল।

বিক্ষোভ শুরুর আগে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠরা অভিযোগ তুলেছিলেন, এসব প্রতিবাদ-বিক্ষোভে বামপন্থি ‘অ্যান্টিফা’ যুক্ত। এমনকি তারা এই বিক্ষোভকে “হেইট আমেরিকা র‍্যালি” বলেও আখ্যা দেন।

তবে আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা জানান, সারাদিনের সব কর্মসূচিই ছিল শান্তিপূর্ণ। তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘নো কিংস’ আন্দোলনের মূল নীতি হলো অহিংসা এবং অংশগ্রহণকারীদের সম্ভাব্য সংঘাত এড়ানো।

নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি) জানায়, শহরে এক লাখেরও বেশি মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভে অংশ নেন এবং কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

বিবিসি বলছে, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকেই নির্বাহী ক্ষমতা চর্চায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি কংগ্রেস অনুমোদিত তহবিল আটকে দিয়েছেন, ফেডারেল প্রশাসনের বিভিন্ন অংশ ভেঙে দিয়েছেন, অন্য দেশের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছেন এবং গভর্নরদের আপত্তি সত্ত্বেও বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন।

ট্রাম্পের দাবি, তার এসব পদক্ষেপ দেশকে পুনর্গঠনের জন্য জরুরি। তিনি একনায়ক বা ফ্যাসিস্ট হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব ‘উন্মাদ দাবি’। তবে সমালোচকদের মতে, তার কিছু পদক্ষেপ সংবিধানবিরোধী এবং আমেরিকার গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img