বুধবার | ১৭ সেপ্টেম্বর | ২০২৫

মেয়ের ওষুধ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনি বাস্কেটবল খেলোয়াড়কে হত্যা করলো ইসরাইল

মুমূর্ষু কন্যার ওষুধ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনি বাস্কেটবল খেলোয়াড় মুহাম্মদ শালানকে হত্যা করলো ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি বাস্কেটবল খেলোয়াড় মুহাম্মদ শালানকে হত্যা করেছে ইসরাইল। তিনি তীব্র রক্ত সংক্রমণে ভুগা ও কিডনি বিকল হয়ে পড়া কন্যার জন্য দক্ষিণ গাজ্জার মানবিক ও খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রে খাবার ও ওষুধ সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলেন। খাবার ও ওষুধ সংগ্রহের লাইনে অপেক্ষারত অবস্থায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

মুহাম্মদ শালান (৪০) ফিলিস্তিন জাতীয় বাস্কেটবল দলের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড় ছিলেন। অসাধারণ নৈপুণ্য ও দক্ষতার জন্য তিনি ‘দ্য আর্থকুয়েক’ নামে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় একটি দলের হয়ে তিনি তার বাস্কেটবল ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। কিডনি বিকল ও তীব্র রক্ত সংক্রমণের ফলে বিধ্বস্ত হাসপাতালে মৃত্যুর ক্ষণ গুণতে থাকা তার মুমূর্ষ কন্যার নাম, মরিয়ম। তার জন্যই তিনি খাবার ও ওষুধ সংগ্রহ করতে সহায়তা কেন্দ্রে গিয়েছিলেন, যা খোদ ইসরাইল বিভিন্ন সংস্থার জন্য সহায়তা কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত করেছিলো এবং একে হামলা থেকে মুক্ত রাখা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলো।

কেন্দ্রটিতে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে কিছুদিন পূর্বে ফিলিস্তিনের পেলে খ্যাত প্রখ্যাত ফুটবলার সুলেমান ওবায়দও নিহত হয়েছিলেন। ইসরাইলী সেনারা তাকে খাবারের লাইনে অপেক্ষারত অবস্থায় হত্যা করে, যা বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় তুলে এবং ২২ মাসের বেশি সময় ধরে গণহত্যা চালিয়ে যাওয়া অবৈধ রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বৃদ্ধি করে।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরুর পর থেকে ইসরাইলের হামলায় গাজ্জায় ৮০০-র অধিক খেলোয়াড় ও ক্রিড়া সংশ্লিষ্ট লোক নিহত হয়েছেন। এছাড়া সর্বমোট ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে।

ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশের প্রত্যক্ষ সমর্থনে আত্মরক্ষার নামে চালিয়ে যাওয়া গণহত্যা উপত্যকাটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে, যা বর্তমানে দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img