মঙ্গলবার, মে ২০, ২০২৫

দেশের সব জেলাকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনা হচ্ছে: রেলপথ মন্ত্রী

spot_imgspot_img

রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে লোকসানের প্রতিষ্ঠান নয়, এটা লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এ জন্য দেশের সব জেলাকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনতে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সব মিটার গেজ রেললাইন ব্রডগেজে উন্নীত করা হচ্ছে। আর ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় রোধে ডাবল লাইন করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন প্ল্যাটফর্মের কৃষ্ণচূড়া চত্বরে জংশন স্টেশনে পুনর্নির্মিত ফুটওভার ব্রিজ ও আধুনিক পাবলিক টয়লেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রেলমন্ত্রী বলেন, অবিভক্ত ভারত ও পরবর্তী পাকিস্তান আমলে এই অঞ্চলের রেলওয়ে বিহারী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হতো। এই কারণে লোকবলের বিশাল সমস্যা ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলওয়েকে দ্রুততার সঙ্গে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা শুরু করেন। কিন্তু উন্নয়নকল্পে যাওয়ার আগেই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এরপর বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসলেও সমস্যায় জর্জরিত রেলওয়ের দিকে নজর দেয়নি। এমনকি স্বাধীনতার সময় পাওয়া তিন হাজার কিলোমিটার রেললাইনকে কমিয়ে আড়াই হাজারে আনা হয়। ৭৮ হাজার শ্রমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী থেকে কমিয়ে ২৫ হাজারে নামিয়ে আনা হয়। তারা রেলওয়েকে লোকসানজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। এমনকি আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংকের পরামর্শে ১৯৯১ সালে বিএনপি রেলওয়ে থেকে ১০ হাজার শ্রমিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছাঁটাই করে।

তিনি বলেন, রেলওয়েতে ৪৮ হাজার লোকের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ২৫ হাজার জনবল রয়েছে। এ জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে রেলওয়ের নিয়োগ বিধিতে সংশোধন আনা হয়েছে। ইতোমধ্যেই তিন হাজার নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও ২০ হাজার নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি জেলার সঙ্গে রেল সম্প্রসারিত করতে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সকল মিটারগেজ লাইনকে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করা হবে। একই সঙ্গে ডাবল লাইনের কাজ শুরু করা হয়েছে। কারণ দেশের জনগণ ট্রেন চাচ্ছে। তাই ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় রোধে ও সময় কমিয়ে ঈশ্বরদী-রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুরসহ দেশের পশ্চিমাঞ্চলের রেলের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের রেল যোগাযোগ সহজকরণে প্রতিটি সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। এ জন্য বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশ দিয়ে ডাবল লাইনের আলাদা রেল সেতুর নির্মাণকাজ চলছে।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img