দোহার ক্রিটিক্যাল সিকিউরিটি স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মুহান্নাদ সেলুম বলেছেন, ইরান-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্বে উত্তেজনা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে এই হামলা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই প্রথমবার ইরান ইরাকের বাইরে আমেরিকার ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করেছে।
সোমবার (২৩ জুন) দিবাগত রাতে কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর তিনি এ কথা বলেন।
মুহান্নাদ সেলুম বলেন, তারা আগে ইরাকে অবস্থিত আমেরিকান ঘাঁটিতে হামলা করেছে এবং ২০০৩ সাল থেকে ইরাকই ইরান-আমেরিকা সংঘাতের রণক্ষেত্র ছিল। এসব হামলা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে, এবার বিষয়টি ইরাকের গণ্ডি ছাড়িয়ে তৃতীয় দেশ যেমন কাতারের ওপর হামলায় গড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি মনে করিয়ে দেন, আল উদেইদ বিমানঘাঁটি, যা ইতোমধ্যে খালি করে ফেলা হয়েছিল, সেখানে শুধু মার্কিন সেনা নয়, কাতার সেনারাও অবস্থান করছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমার প্রাথমিক বিশ্লেষণ হলো, ইরান হয়তো আমেরিকা ও সম্ভবত কাতারকে আগেই এ হামলার বিষয়ে জানিয়ে রেখেছিল। এটি একটি প্রতীকী হামলা বলেই মনে হচ্ছে।
তার মতে, ইরান-আমেরিকা উত্তেজনার দুটি দিক থাকতে পারে। প্রথমত, ইরান এই হামলাকে সম্মান রক্ষার একটি প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্যাখ্যা করে এখন আলোচনায় আসতে চাইবে। অথবা, পরিস্থিতি এমন এক দিকে গড়াতে পারে যা খুবই বিপজ্জনক হবে কারণ, আমেরিকা তাদের জনবলের ওপর চলমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় অবশ্যই জবাব দেবে।