ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সীরাত পাঠের প্রয়োজনীয়তা হলো এটি রাসুল (সা.) এর উত্তম আদর্শকে ধারণ করে দুনিয়া ও আখেরাতে সফল হওয়ার পথ দেখায়। এটি মুসলিমদের আধ্যাত্মিক বিকাশ ঘটায়,ঈমান ও আকীদাকে সুসংহত করে এবং একে অপরের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করে। সীরাত পাঠের মাধ্যমে জীবনকে একটি নিখুঁত মডেল বা আদর্শ অনুসরণ করে নিজেদের পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পার্বত্যজেলা খাগড়াছড়ি টাউন হলে সীরাতে মুস্তাকিম ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে আয়োজিত সীরাত কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মহান আল্লাহ যাকে সম্মান দান করেন তাকে কেউ অসম্মানিত করতে পারেন না। আর যাকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেন তাকে কেউ সম্মান দান করতে পারেন না।সুতরাং দুনিয়া ও আখেরাতে সম্মানিত ও সফল হতে সীরাত পাঠের গুরুত্ব অপরিহার্য।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা মুফতী ইমাম উদ্দিন কাসেমীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা হাবিবুল্লা জাহাঙ্গীর, মাওলানা নুরুল কবির আরমান ও মোস্তফা হায়দারের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সীরাত কনফারেন্সে প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন চট্টগ্রাম জামিয়াতুন নূর আল ইসলামিয়া’র মহাপরিচালক মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামযাহ।
বিশেষ আলোচক ছিলেন, চট্টগ্রাম হাটহাজারী মেখল মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা ইসমাইল খান, মাটিরাঙ্গা গোমতি জামে মসজিদের খতিব মুফতী শামীম হোসেন ফারুকী, দীঘিনালা উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব জামাল হোসেন জামিল, নয়নপুর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শহিদুল ইসলাম, আল আকসা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা রেজাউল করিম মিছবাহ, মোহাম্মদপুর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হাফেজ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।