তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান জানিয়েছেন, গাজ্জার পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে একটি আন্তর্জাতিক টাস্ক ফোর্স গঠনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। এই উদ্যোগ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং বিস্তারিত বিষয়গুলো চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) তুরস্কভিত্তিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এরদোগান কুয়েত, কাতার ও ওমান সফর শেষে দেশে ফেরার পথে সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি বহুস্তরীয় বিষয় এবং এ নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যাপকভাবে আলোচনা হচ্ছে। তুরস্ক সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত এবং প্রস্তুতিমূলক কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, হামাস যুদ্ধবিরতি মানছে এবং তাদের প্রতিশ্রুতি স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে, কিন্তু ইসরাইল ধারাবাহিকভাবে তা লঙ্ঘন করছে। এরদোগানের মতে, ইসরাইলের ওপর যথেষ্ট কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা এখন অপরিহার্য। প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা ও অস্ত্র বিক্রি স্থগিত করার মতো পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে ইসরাইল আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি মেনে চলে।
গাজ্জায় মানবিক সংকট মোকাবিলায় তুরস্কের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এরদোগান বলেন, তুরস্ক থেকে পাঠানো ১৭তম গুডনেস জাহাজ ইতিমধ্যে মিশরের এল-আরিশ বন্দরে পৌঁছেছে, যেখানে খাদ্য, চিকিৎসা সামগ্রীসহ জরুরি মানবিক সহায়তা রয়েছে। তুর্কি সরকারি সংস্থা ও এনজিওগুলো গাজ্জার ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে অংশ নিতে প্রস্তুত। এরদোগান বলেন, ইসরাইলের অবরোধে গাজ্জার মানুষ এখন সবকিছুর অভাবে ভুগছে, তাই এখন কথার নয়, বাস্তব পদক্ষেপের সময়।
আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, গাজ্জার পুনর্গঠন কোনো একক দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি কুয়েত, কাতার ও ওমানসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এসব দেশ গাজ্জার পুনর্নির্মাণে সহায়তা করতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এরদোগান কাতারের দীর্ঘস্থায়ী ফিলিস্তিন সমর্থনের প্রশংসা করেন এবং গাজ্জাকে ইসলামী বিশ্বের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা বলে উল্লেখ করেন।









