মহান আল্লাহর অবমাননাকারী বাউল শিল্পীর দৃষ্টান্তমূলক, কঠোর ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে সাধারণ আলেম সমাজ।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সাধারণ আলেম সমাজের বিবৃতি-
মহান আল্লাহর শানে জঘন্য শব্দ ব্যবহার করে ধর্ম অবমাননার অপরাধে বাউল আবুল সরকারকে গ্রেফতারের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট কিছু মহলের অপপ্রচারের প্রতিবাদ ও অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি
আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, মহান আল্লাহর শানে জঘন্য শব্দ ব্যবহার করে ধর্ম অবমাননার সুস্পষ্ট অভিযোগে আবুল সরকার নামক এক বাউলকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তারের ঘটনায় এক শ্রেণীর লোক পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করছি, এটি কেবল ফৌজদারি অপরাধ নয়, বরং বাংলাদেশের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলিমের হৃদয়ে আঘাত হানার শামিল। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের এই গুরুতর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ আইনি শাস্তি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের অপরিহার্য দায়িত্ব।
আমরা আরও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, মূল অপরাধকে আড়াল করে ‘কথিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার’ এমন শিরোনাম ব্যবহার করে মিডিয়ায় পরিকল্পিত বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই বিষয়টিকে ‘সংস্কৃতি’, ‘বাকস্বাধীনতা’ বা ‘শিল্প ও শিল্পীর ওপর আঘাত’ হিসেবে দেখানোর অপচেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার সমর্থকেরা ‘ভিক্টিম কার্ড’ ব্যবহার করে অপরাধ ঢাকতে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিছু প্রভাবশালী মিডিয়া ও গোষ্ঠী এ ধরনের অপপ্রয়াসে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে, যা ন্যায়বিচারের পথে বড় বাধা তৈরি করছে। আমরা এই দায়িত্বহীনতা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণার তীব্র নিন্দা জানাই।
সাধারণ আলেম সমাজ সুস্পষ্টভাবে জানাচ্ছে, আমরা কোনোভাবেই আইন হাতে নেওয়ার প্রবণতাকে সমর্থন করি না। যদি কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তাও রাষ্ট্রের সুশাসনের ঘাটতির কারণে ঘটেছে। আমাদের অবস্থান হলো, রাষ্ট্রে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি অপরাধীর বিরুদ্ধে দ্রুত যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অপরাধীকে রক্ষা করা, তার দোষ লঘু করা কিংবা জনতার ন্যায়সঙ্গত ক্ষোভকে উল্টো দোষারোপ করার চেষ্টা—এসবই ন্যায়বিচার থেকে সরে আসার শামিল।
আমরা রাষ্ট্রের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, সমস্ত বিভ্রান্তি ও ভ্রান্ত প্রচারণার অবসান ঘটিয়ে, কোনো রাজনৈতিক, সামাজিক বা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর চাপ বিবেচনা না করে, মহান আল্লাহর অবমাননাকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক, কঠোর ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে অত্যন্ত সংবেদনশীল এই বিষয়কে কেন্দ্র করে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর যেসব অপপ্রয়াস চলছে—তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।









