রাজধানীতে প্রায় ৩০০টি ছোট-বড় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ভূমিকম্প হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে রিপোর্ট সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে রাজউকের আয়োজনে ‘ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাসে প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, এখন রাজউকের পরিকল্পনা হলো, খুব দ্রুত যেসব ভবনে বেশি ক্ষতি হয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে কাজ করা। কোনটা একদম ভেঙে ফেলতে হবে, কোনটা রাখা যাবে- এই কাজটা দ্রুত করতে হবে।
তিনি বলেন, আতঙ্কের কোনো কারণ নেই, বিশেষজ্ঞরা আগে বলেছিলেন যে রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বাড়ি ধসে পড়বে। অথচ এর থেকে বেশি হয়েছে। আল্লাহর রহমতে টিকে গেছি। সেজন্য বিশেষজ্ঞদের প্রতি প্যানিক না ছড়ানোর আহ্বান জানান রাজউক চেয়ারম্যান।
বাসা নির্মাণে দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, রাজউক কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে দুর্নীতি আছে। আবার বাসা মালিকদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। ২০০ স্কয়ার ফুট ফ্ল্যাটের জায়গা বেশি পেতে অনেকে দেশ ও জাতির ক্ষতি করছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয় রাজধানী ঢাকাসহ এর আশেপাশের এলাকায়। এটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। এতে ১০ জন নিহত ও প্রায় চার শতাধিক মানুষ আহত হন।









