মঙ্গলবার | ৩০ ডিসেম্বর | ২০২৫
spot_img

ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় ১০০ জার্মান-ইহুদি বুদ্ধিজীবীর নিন্দা

ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় নিন্দা জানিয়েছে জার্মানের ১০০ ইহুদি বুদ্ধিজীবী।

সম্প্রতি জার্মান দৈনিক ‘টাগেসজেইটুংয়ের’ প্রতিবেদনে ১০০ জার্মান-ইহুদি বুদ্ধিজীবীর নিন্দাসূচক বিবৃতির আংশিক প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা ও ধরপাকড়ের দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়, পুলিশ প্রশাসন এমন পদক্ষেপের কোনো যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেনি। তারা সবধরণের বিক্ষোভ বাতিল করেছে। এমনকি ইহুদি গোষ্ঠী কর্তৃক আয়োজিত গণ-জমায়েতকেও তারা এন্টি সেমিটিজম (ইহুদি বিদ্বেষ) ও সেমিটিজমের বিরুদ্ধে হুমকি বলে বিবেচনা করেছে! অথচ স্বাধীনভাবে ন্যায্য ও শান্তিপূর্ণ মতামত প্রকাশের অধিকারের মধ্যে ইসরাইলের সমালোচনার অধিকারও জার্মানদের রয়েছে। যে বিবেচনায় তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তা স্বাধীনভাবে ন্যায্য ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক মতামত প্রকাশের অধিকারকে বাঁধাগ্রস্ত করেছে। শুধু তাই নয়, স্বাধীন মতামত দমনে যথেচ্ছ নিষেধাজ্ঞার সাথে অনৈতিক বর্বরতাও শামিল হয়েছে। প্রশাসন জার্মানজুড়ে ভিনদেশী ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকদের নিশানা বানাচ্ছে। তাদের গ্রেফতার ও মারধর করছে। তুচ্ছ অজুহাতে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে জনসাধারণকে।

এছাড়াও যে অজুহাতে জার্মান সরকার ইসরাইলকে সমর্থন দিচ্ছে ও ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে তা সরকারের বর্ণবাদী সহিংসতা পরিচালনার ঠুনকো অজুহাত বলে দাবী করেন তারা। বর্ণবাদী সহিংসতা পরিচালনায় জার্মান সরকারের অজুহাতকে প্রত্যাখ্যান করে ইহুদি বুদ্ধিজীবীরা বলেন, আমরা আমাদের আরব, মুসলিম ও বিশেষত ফিলিস্তিনি প্রতিবেশীদের সাথে সম্পূর্ণ রূপে একাত্মতা পোষণ করছি।

উল্লেখ্য; গত সপ্তাহে গাজ্জা গণহত্যার প্রতিবাদে জার্মানী জুড়ে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ প্রকট হতে থাকায় জার্মান সরকার ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে একটি বিতর্কিত আইন পাশ করে। এবিষয়ে দেশটির ডেপুটি স্বররাষ্ট্র মন্ত্রী রিটা শোয়ার্জেনলুহের-সাটার বলেন, জার্মানিতে সকলেরই স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ ভাবে মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। তবে এতে একটি সূক্ষ্ম লালরেখাও রয়েছে। আর তা হলো, এন্টি-সেমিটিক (ইহুদি বিদ্বেষ) ও এন্টি ইসরাইল (ইসরাইল বিরোধী) সংশ্লিষ্ট সব ধরণের উসকানির জন্য সকলকে জিরো টলারেন্স নীতির মুখোমুখি হতে হবে। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনে পুলিশও কঠোর অবস্থানে যাবে।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

spot_img
spot_img
spot_img
spot_img

সর্বশেষ