বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতির উন্নতির জন্য জাপান আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে এবং রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সুগন্ধা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব জেনোসাইড স্টাডিজ আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট: প্রত্যাবাসনের পথ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পাশে থাকবে।
তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ভাসান চরে জীবিকা ও দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ বাড়াতে রোহিঙ্গাদের নিয়োগের জন্য বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে অনুমতি দিয়ে প্রচেষ্টা চালানোর পরামর্শ দেন।
ইতো নাওকি পাঁচ বছর ধরে ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে মোট ৮.২ মিলিয়ন ডলার নতুন অবদান দেয়ার কথাও উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে জাপান আগস্টে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি কক্সবাজার এবং ভাসান চর দ্বীপে বাস্তবতা পরিবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরেন যাতে রোহিঙ্গারা ভবিষ্যতের দিকে আশা রাখতে পারে।
সূত্র: বাসস