আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, গত বছরের ৩৬ দিনের আন্দোলনে বাংলাদেশের সাহসী তরুণরা টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া সারা দেশে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলেছিল, দিল্লির আধিপত্য আমরা মানবো না। আগেও মানিনি, ভবিষ্যতেও মানবো না। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার বাংলাদেশের স্বার্থে শত্রু পক্ষের সঙ্গে কোনো আপোস হবে না। দিল্লির আধিপত্যের প্রশ্নে কোনো ছাড় নয় তা সেটা কংগ্রেস হোক, বিজেপি হোক, গান্ধী পরিবার হোক বা মোদি হোক।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে এবি পার্টির ‘জুলাই গণসমাবেশ’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফুয়াদ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক। তার সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে তিনি কথাবার্তা, কাজ এবং আচরণ দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন লাল-সবুজ পতাকার শত্রুরা কারা। কোন শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের বারবার লড়তে হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, শুধু শেখ হাসিনাই নন, দেশের অনেক রাজনৈতিক নেতা এস আলম গ্রুপের টাকা খাচ্ছেন, সেই টাকায় ব্যবসা করছেন এবং সন্তানদের বিদেশে পড়াচ্ছেন। এ অবস্থায় আমাদের মনে রাখতে হবে, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন কিভাবে স্বাধীন নবাবের পতন ঘটেছিল। আজও সমাজে কিছু লোক মীর জাফর, উর্মিচাঁদ, ঘষেটি বেগম আর জগৎশেঠের ভূমিকায় রয়েছেন তাদের চিহ্নিত করতে হবে।
ফুয়াদ আরও বলেন, কে কোন দলকে নির্বাচনে চায়, কারা এস আলমের টাকায় আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায়, কারা ১৪০০ শহীদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে চায় তাদের চেনা দরকার। এরা বাংলাদেশের মানুষ নয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফুয়াদ বলেন, জুলাই সনদ অনুযায়ী এবি পার্টি প্রস্তাব দিয়েছে, ৩০০ আসনের মধ্যে ২০০ আসনে সরাসরি ভোট ও বাকি ১০০ আসনে ‘পি আর’ পদ্ধতিতে নির্বাচন হোক। তবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলেও এবি পার্টি আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানান তিনি।
জেলা এবি পার্টির প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম জনির সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আব্বাস ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সেলিম খান, জুলাই শহীদ সাদের পিতা সফিকুল ইসলাম, জুলাই যোদ্ধা রমজান মাহমুদ, আসাদুল্লাহ প্রমুখ।