রবিবার | ২৬ অক্টোবর | ২০২৫

এলিটদের মাধ্যমে ভারতে পার হচ্ছে স্বৈরাচারের দোসর : দুদক চেয়ারম্যান

সময়ের সঙ্গে দুর্নীতির ধরন পরিবর্তন হচ্ছে মন্তব্য করে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেছেন, যতই দিন যাচ্ছে, ততই দুর্নীতি বাড়ছে। দুর্নীতির ধরন চেঞ্জ হচ্ছে। মানুষ পারাপার করেও টাকা আদায় করা যায়, দুর্নীতি করা যায়, এই যশোরে এসে দুর্নীতির নতুন ধরন শুনলাম। স্বৈরাচারের দোসর হোক, মামলার আসামি হোক, তারা যশোরের রাজনীতির এলিটদের মাধ্যমে ভারতে পার হচ্ছে। এটা যদি হয়, তাহলে রাষ্ট্রের প্রত্যাশা বিঘ্নিত হবে। এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সেটা খেয়াল রাখতে হবে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘রুখবো দুর্নীতি, গড়বো দেশ; হবে সোনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ গণশুনানির আয়োজন করে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত যশোর কার্যালয়।

দুর্নীতির কারণেই বিগত সরকার পতন হয়েছে মন্তব্য করে দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, সামনে নির্বাচন, সুষ্ঠু ও আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন হবে। তার জন্য সবার নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দেশটাকে ভালো রাখতে সৎ প্রার্থীকে বাছাই করতে হবে। আমরা যদি ১৫ বছরের ইতিহাস দেখি, সরকারের রন্ধে রন্ধ্রে ছিল দুর্নীতি। বিগত সরকারের এ অবস্থা হওয়ার পেছনেও ছিল দুর্নীতি। ফলে দুর্নীতিগ্রস্তকে বেছে নেবেন না। সেটিই হবে রাষ্ট্রের প্রতি সুবিচার। দুর্নীতি একেবারে নির্মূল করতে পারব, এটা প্রত্যাশিত না; তবে কমানো যাবে। আমরা শুনানির মাধ্যমে জনগণকে কর্মকর্তাদের মুখোমুখি করে দিচ্ছি না। দুইপক্ষের মধ্যে সম্পৃক্ততা তৈরি করছি। এতে দুর্নীতি কমানো সম্ভব হবে। এই যশোর থেকে ন্যায়ের ও দুর্নীতিমুক্ত যাত্রাটা শুরু হবে।

শুনানিতে জেলার সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ৩৭টি দপ্তরের ৭৫টি অভিযোগের ওপর শুনানি গ্রহণ করা হয়। শুনানি শেষে কিছু বিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ ও কিছু বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন দুদক চেয়ারম্যান।

শুনানিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। শুনানি মডারেট করেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম।

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img