দেশের ব্যাংক খাতে বড় ধরনের সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অনিয়ম ও দীর্ঘদিনের লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত ৬টি বেসরকারি ব্যাংককে একীভূত করে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আগামী জুলাই মাসের মধ্যে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসবে এই ৬টি ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো– সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, দেশ থেকে প্রায় ১৮-২০ বিলিয়ন (বাংলাদেশি টাকায় ২ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা) ডলার পাচার হয়ে গেছে। এসব তথ্য যাচাই ও প্রমাণে সময় লাগবে। তবে সে প্রক্রিয়াটি বর্তমানে চলমান।
তিনি বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যৌথ তদন্ত দল কাজ করছে এবং প্রয়োজনে আরও তদন্ত দল গঠন করা হবে।
গভর্নর আরও বলেন, নানান অনিয়ম ও ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে দুর্বল হয়ে পড়া ইসলামী খাতের কয়েকটি ব্যাংককে একীভূত করে সাময়িকভাবে সরকারের মালিকানায় নেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। এসব ব্যাংককে সরকারের অধীনে এনে প্রয়োজনীয় মূলধন জোগান দিতে পারবো। তখন সরকারি ব্যাংক হয়ে যাবে, বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের তারল্য (লিকুইডিটি) সহায়তা দিয়েছে। সরকারের কাছে এসব ব্যাংকের মালিকানা সাময়িকভাবে থাকবে। পরবর্তীসময়ে ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠন শেষে সাধারণ দেশি বা বিদেশি ভালো বিনিয়োগকারীদের ও আন্তর্জাতিক কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার হস্তান্তর করা হবে।