শনিবার | ২৭ ডিসেম্বর | ২০২৫
spot_img

ইসরাইলের বোমাবর্ষণের মধ্যেই কুরআনের হাফেজ হলেন ৫০০ ফিলিস্তিনি, দেয়া হলো সংবর্ধনা

ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই বিধ্বস্ত গাজ্জা উপত্যকায় ৫০০ ফিলিস্তিনি পবিত্র কুরআন মুখস্ত করেছেন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) গাজ্জা সিটির আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের সম্মাননা জানানো হয়।

স্থানীয় ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে হিফজ সম্পন্ন করা সদস্যদের পরিবার, আলেম, শিক্ষক ও বাসিন্দারা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই যুদ্ধের সময় একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

কুরআন তেলাওয়াত, দোয়া ও বক্তব্যের মাধ্যমে অব্যাহত বোমাবর্ষণ, অবরোধ ও মানবিক বিপর্যয়ের মুখে ধৈর্য, বিশ্বাস ও অবিচলতার বার্তা তুলে ধরা হয়।

আয়োজকরা জানান, নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলা, বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানির সংকট, নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব এবং স্বজন হারানোর বেদনার মধ্যে অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে তারা পবিত্র কুরআন মুখস্থ করেছেন। অনেকেই বিপুল সংখ্যক লোকের ভিড়ের আশ্রয়কেন্দ্রে, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি বা অস্থায়ী শ্রেণিকক্ষে মোমবাতির আলোতে পড়াশোনা করেছেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যুদ্ধকালীন সময়ে কুরআন হিফজ কেবল ব্যক্তিগত ধর্মীয় অর্জন নয়, এটি ফিলিস্তিনি পরিচয় ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের একটি সম্মিলিত প্রতিরোধের প্রতীক।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একজন আয়োজক বলেন, ‘যখন ইসরাইল আমাদের জীবন, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যৎ মুছে দিতে চায়, তখন এই হাফেজ ও হাফেজারা আল্লাহর বাণীকে নিজেদের হৃদয়ে সংরক্ষণ করে রেখেছেন।’

উপস্থিত ধর্মীয় আলেমরা জানান, দীর্ঘদিনের অবরোধ ও একাধিক সামরিক অভিযানের পরও গাজ্জায় কুরআন শিক্ষার ঐতিহ্য রয়েছে। যুদ্ধের সময় বহু হিফজ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হলেও স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগ ও পারিবারিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম অনানুষ্ঠানিকভাবে চলতে থাকে।

অভিভাবকেরা জানান, বোমা পড়া শব্দের মধ্যে এবং জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে ওঠার সময় তাদের সন্তানরা সান্ত্বনা ও শক্তির জন্য কুরআনের আশ্রয় নিয়েছে।

spot_img
spot_img
spot_img
spot_img

সর্বশেষ