খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, এই মুহূর্তে দেশ পুনর্গঠনের কাজে সরকারকে সকলে সহযোগীতা করা প্রয়োজন। যারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছেন, রাস্তাঘাট দখল করছেন তারা দেশের ভালোর জন্য করছেন না। এদের অনেকে পরাজিত স্বৈরাচার শক্তির ক্রীড়নক হিসেবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
বুধবার (২৮ আগষ্ট) ৭টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন।
খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্র-জনতা এখন আগের চেয়ে অনেক সজাগ রয়েছে। তাই অভ্যুত্থান বিরোধী কোন অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্র সফল হবে না। দেশের একটি অংশ ভারতীয় বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমাদের সকল ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ভারতের কাছ থেকে অভিন্ন নদীগুলোর হিস্যা আদায়ে প্রয়োজনের আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে।
নেতৃবৃন্দ উদ্বেগের সাথে বলেন, ফেনী সহ বন্যা কবলিত স্থানে পানি নেমে যাওয়ার পর যে দুর্ভোগ শুরু হয়েছে তা অবর্ণনীয়। মানুষের থাকার ঘর নষ্ট হয়ে গেছে। রাস্তাঘাট খানা-খন্দে ভরে গেছে। তাই সরকারকে অবিলম্বে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করা দরকার। হাসপাতালগুলো পরিপূর্ণ চালু ও দ্রুত রাস্তা-ঘাট মেরামত করতে না পারলে বিপর্যয় আরো বাড়বে। যেসব অঞ্চল এখনো পানিতে তলিয়ে রয়েছে সেখানে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। খেলাফত মজলিস গত ২১ আগস্ট ফেনী থেকে শুরু করে বন্যা কবলিত সকল স্থানে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রশাসন সহ সকল স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে এই দুর্যোগের মুহূর্তে মানুষের পাশে আরো বেশি করে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় ও নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ,
সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মদ
মুনতাসির আলী, ড: মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক আহমদ আসলাম, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, আলহাজ আবু আদিবা, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, আলহাজ¦ নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন প্রমুখ।