বুধবার | ১৭ সেপ্টেম্বর | ২০২৫

হামাসের হামলায় ইসরাইলের চার সেনা নিখোঁজ; বেশ কয়েকজন হতাহত

গাজ্জার পূর্বাঞ্চলের জেইতুন মহল্লায় ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক সাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের হামলায় ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হয়েছে। এ হামলায় নিখোঁজ রয়েছে আরও চার ইসরাইলি সেনা।

শনিবার (৩০ আগস্ট) জেইতুন মহল্লায় পরিকল্পিত এ হামলা চালায় হামাস।

হিব্রু গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেনাদের সরিয়ে নিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী অতিরিক্ত ৬টি হেলিকপ্টার মোতায়েন করে। একইসঙ্গে গাজ্জার আকাশে ব্যাপক ফ্লেয়ার নিক্ষেপ করা হয় বাহিনীকে সুরক্ষিত রাখতে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাদের আটক হওয়া ঠেকাতে সেনাবাহিনী হ্যানিবাল প্রোটোকল চালু করেছে। এ ধরনের জরুরি সামরিক পদক্ষেপ কেবল বন্দি হওয়ার ঝুঁকি থাকলে নেওয়া হয়।

সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি সেনাদের (১৬২) ডিভিশন এবং (৪০১) সাঁজোয়া ব্রিগেড হামলার শিকার হয়েছে। জেইতুন মহল্লায় প্রবল লড়াইয়ের মধ্যে নতুন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা যোগ দেওয়ায় সেনারা আরও তীব্র চাপে পড়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম হামলাটি হয় জেইতুন মহল্লায়, যেখানে নাহাল ব্রিগেডের একটি বাহিনী সুপরিকল্পিত ঘেরাওয়ে পড়ে। এতে একজন সেনা নিহত হয় এবং অন্যরা আহত হয়। এরপর সাবরা মহল্লায় দ্বিতীয় হামলা চালানো হয়, যা ইসরাইলি হেলিকপ্টারগুলোকে হস্তক্ষেপ করতে এবং ঘটনাস্থলে বোমা হামলা চালাতে বাধ্য করে।

গণমাধ্যমের তথ্যে বলা হয়েছে, কাসাম যোদ্ধারা জেইতুন মহল্লার হামলার সময় সেনাদের আটক করার চেষ্টা করে। বর্তমানে নিখোঁজ সেনাদের সন্ধানে ইসরাইলি সেনারা ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।

কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা বলেছেন, “ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ইসরাইলের গাজ্জা দখলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। এই পরিকল্পনা দখলদারের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে। ইসরায়েলি বন্দিরা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ের এলাকাতেই থাকবে।”

শুক্রবার সন্ধ্যায় টেলিগ্রামে একাধিক পোস্টে তিনি আরও বলেন, “গাজা দখলের পরিকল্পনার মূল্য দখলদার সেনাবাহিনীকে তাদের সেনাদের রক্ত দিয়ে দিতে হবে। এবং এর ফলে নতুন সেনাদের বন্দি করার সম্ভাবনা আরও বাড়বে, ইনশাআল্লাহ।”

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটোর

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img