Home Blog Page 4565

মঙ্গলবার বিএনপির ছায়া বাজেট উত্থাপন

0

মঙ্গলবার ৯ জুন বাজেট ভাবনা তুলে ধরবে বিএনপি। এতে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে জানাগেছে।

এতে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেট ভাবনায় ইতিপূর্বে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিএনপির দেওয়া অর্থনৈতিক প্যাকেজ প্রস্তাবনাকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাবে দলটি।

মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উত্তরার বাসা থেকে অনলাইনে ছায়া বাজেট উত্থাপন করবেন।

সোমবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।

জানাগেছে, ছায়া বাজেটে খাতওয়ারি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেবে বিএনপি। ইতিমধ্যে বাজেট প্রস্তাবনার কাজ চূড়ান্ত করেছেন দলটির দায়িত্বপূর্ণ নেতারা। বাজেট কী রকম হওয়া উচিত, সেটির একটি প্রস্তাব থাকবে।

এমনকি করোনায় সৃষ্ট চলমান পরিস্থিতি ও তার পরবর্তী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সংকটগুলোকে চিহ্নিত করে এর সম্ভাব্য সমাধানের পথও তুলে ধরা হবে ওই প্রস্তাবনায়।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা নাসিম লাইফ সাপোর্টে

0

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ‘লাইফ সাপোর্টে’ আছেন।

বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিউরোসার্জন ডা. রিয়াজুল হক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ‘তিনি এখনো অচেতন। ডিপ কোমায় আছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল নয়। তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিমের ব্রেন জীবিত আছে কিনা তা দেখার জন্যে কয়েকবার “ব্রেন স্টেম ফাংশন” পরীক্ষা করা হবে। এর পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার ভেন্টিলেশন খুলে দেওয়া হবে কিনা।’

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সোমবার থেকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মোহাম্মদ নাসিম।

বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শুক্রবার তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তরের কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় স্ট্রোক করায় অবস্থার অবনতি ঘটে।

হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা না পাওয়ার বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট

0

দেশের হাসপাতালে কতগুলো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ বেড) আছে এবং তা কীভাবে বণ্টন হয় তা জানতে চেয়েছে আদালত।

পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পরামর্শ ও তদারকিতে কেন্দ্রীয়ভাবে কী ব্যবস্থা আছে, তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার এক রিটের শুনানিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব তথ্য জানতে চান।

রাষ্ট্রপক্ষকে বুধবারের মধ্যে ওই সব তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেসরকারি হাসপাতালের ‘আইসিইউ বেড অধিগ্রহণ’ ও অনলাইনে ‘সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো’ গঠনের নির্দেশনা চেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেপুটি রেজিস্ট্রার শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন শনিবার ওই রিট করেন।

সোমবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান।

ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে যুক্ত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নূরুল।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা সাংবাদিকদের বলেন, করোনা রোগীদের পরামর্শ ও তদারকির জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে কী ব্যবস্থা আছে এবং দেশে কতগুলো আইসিইউ বেড আছে, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। বুধবার এসব তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান বলেন, শুনানিতে করোনা উপসর্গের রোগীদের বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা না পাওয়ার বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

এ ছাড়া সারাদেশে আইসিইউ বেডের সংখ্যা কত, সেগুলো কীভাবে বণ্টন হয় সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আল্লামা আহমদ শফীর সুস্থতার জন্য সকলেই দোয়া করুন : চরমোনাই পীর

0

দেশের ঐতিহ্যবাহী ইসলামী বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি রেজাউল করীম।

আজ সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আল্লামা শাহ আহমদ শফী হুজুর আমাদের সকলের জন্য ছায়া স্বরূপ।তিনি দলমত নির্বিশেষে ইসলামপ্রিয় জনতার অভিভাবক বা মুরব্বি। দেশ ও জাতির প্রয়োজনে তার শারীরিক সুস্থতা আমাদের জন্য নেয়ামত স্বরূপ।

চরমোনাই পীর নিজেও বিশেষভাবে আল্লাহর কাছে হযরতের আশু রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া করেছেন এবং দেশের সকল ইসলামপ্রিয় মানুষকে দোয়া করতে আহ্বান জানিয়েছেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম ও মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ অপর বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর রোগমুক্তি কামনায় দেশবাসীকে বিশেষভাবে দোয়ার আহবান জানিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া অনুষ্ঠিত : আল্লামা শাহ আহমদ শফীর আশু সুস্থতা কামনা করে আজ সোমবার বাদ মাগরিব সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়ার আয়োজন করা হয়। এতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন

মঙ্গলবার রাত থেকেই কার্যকর হচ্ছে নতুন লকডাউন

0

দেশে করোনার ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এবার কার্যকর লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাজাবাজার এলাকা লকডাউনের মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, লাল, হলুদ ও সবুজ এলাকায় ভাগ করে ঢাকায় শুরু হচ্ছে এলাকাভিত্তিক ভিন্নমাত্রার লকডাউন (অবরুদ্ধ)। প্রাথমিক তালিকায় ওয়ারির একটি জায়গাও রয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা অন্যান্য এলাকায় হবে। রাজধানীর বাইরে ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের তিনটি এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ বিবেচনা করে চিহ্নিত করা ঢাকার লাল, হলুদ ও সবুজ এলাকা কীভাবে পরিচালিত হবে, তার গাইডলাইনও ইতিমধ্যে ঠিক করা হয়েছে। লকডাউন ঘোষিত এলাকায় চলাচল বন্ধ থাকবে। কেবল রাতে মালবাহী যান চলতে পারবে। ওই এলাকার মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য থাকবে হোম ডেলিভারি ও নির্ধারিত ভ্যানে করে কাঁচাবাজার কেনাবেচার সুযোগ। এসব এলাকার অফিস-আদালত বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও সাধারণত বন্ধ থাকবে। খুব প্রয়োজনে চললেও তা হবে খুবই নিয়ন্ত্রিতভাবে। করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য থাকবে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নমুনা সংগ্রহ বুথ। থাকবে চিকিৎসা পরামর্শের সুযোগ।

কেন্দ্রীয় একটি কমিটির অধীনে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলের নেতৃত্বে পুলিশ, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় মানুষকে সম্পৃক্ত করে কমিটি গঠনের মাধ্যমে লকডাউনসহ অন্যান্য বিষয় বাস্তবায়িত হবে।

নয়া লকডাউনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

0

করোনাভাইরাস সংক্রমণ মাত্রার উপর ভিত্তি করে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন-এই তিন জোনে সারাদেশকে বিভক্ত করে লকডাউন করা সংক্রান্ত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এটা অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন যে, আইটি ব্যবহার করে যেভাবে জোনিং করার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে এটা সারা পৃথিবীতে করা হচ্ছে। এটাতে সুবিধা আছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য এক্সিকিউটিভ মিনিস্ট্রি তারা বসেই যদি মনে করে কোনো জায়গাটাকে…. রেড জোন ডিক্লেয়ার করা সবার জন্যই ভালো, কারণ সবাই তখন সতর্ক হতে পারবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোনো এলাকায় যদি অধিক সংক্রমণ থাকে সেই এলাকাকে যদি স্পেশালি নিয়ন্ত্রণে নেয়া যায়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন সোমবার।’

আব্বাস ইবনে ফিরনাস : প্রথম মানুষ যিনি আকাশে উড়েছিলেন

0

নাহিয়ান হাসান


এই গল্প নবম শতাব্দীর বহুবিদ্যাজ্ঞ এবং ইঞ্জিনিয়ার যিনি ইঞ্জিন চালিত বিমান আবিষ্কারের প্রায় এক হাজার বছর পূর্বেই শূন্যে উড্ডয়নের ভারী যন্ত্র আবিষ্কার করে আকাশে উড়ার দুঃসাহস করেছিলেন।

রাইট ভাত্রিদ্বয় সম্ভবত প্রথম ইঞ্জিনচালিত বিমান আবিষ্কার করেছিলেন। তবে নবম শতাব্দীর ইঞ্জিনিয়ার আব্বাস ইবনে ফিরনাস রেশম, কাঠ এবং পাখির আসল পালক দ্বারা নির্মিত এক জোড়া ডানার সাহায্যে আকাশে উড়ে বেড়ানো প্রথম মানব হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকেন।

ঐতিহাসিকদের মতে,৬৫ থেকে ৭০ বছর বয়সে ইবনে ফিরনাস ইয়েমেনের জাবাল আল আরুস পর্বতের খাড়া শৃঙ্গ থেকে ঝাঁপিয়ে পরে বাতাসে উড়ে বেড়িয়েছিলেন। তিনি কমপক্ষে ১০মিনিট বাতাসে উড্ডীন ছিলেন। এই সংক্ষিপ্ত উড্ডয়ন তাকে আহত এবং হতাশ দুটোই করেছিল। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে অবতরণের যান্ত্রিক কৌশলে তিনি অবহেলা করেছেন যার কারণে বাতাসে তিনি তার বিমানের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেননি এবং শেষমেশ দুর্ঘটনা কবলিত অবতরণের সম্মুখীন হয়েছেন।

ইবনে ফিরনাস এর পরেও আরো ১২ বছর জীবিত ছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে ধীরে অবতরণের ক্ষেত্রে ডানা ও লেজের পরিপূরক ভূমিকা রয়েছে। আর তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন কয়েক দশক যাবত পাখিদের উড্ডয়ন এবং অবতরণ নিয়ে গবেষণা করার পর। ইবনে ফিরনাসই সেই ব্যক্তি যিনি অর্নিথোপ্টার তৈরি করার পিছনে “উড্ডয়নের ক্ষেত্রে পাখি বিমানের জন্য অনুকরণীয় এবং ডানা ঝাপটিয়ে উড়তে সক্ষম”এই তত্ত্ব সফলভাবে প্রমাণ করেছিলেন। তাঁর উড়ন্ত যানের নকশাগুলো বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে বিমান চলাচল প্রকৌশলের মূলভিত্তিতে পরিণত হয়েছিল।

চূড়ান্ত পরিমার্জনের আগে কয়েক দশক পর্যন্ত আকাশে উড়ে বেড়ানো মানুষের জন্য শুধু স্বপ্নই ছিল। সেই শতাব্দীগুলোতে ইতিহাস ছিল রূপকথা আর মনগড়া গল্পে ভরপুর;যেখানে ডানা বিশিষ্ট মানুষ আকাশে অত্যাশ্চর্য সব জিনিস করে বেড়াতো! গ্রীক পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ইকারাস তার বাবার না যাওয়ার উপদেশ সত্ত্বেও সূর্যের এত কাছে উড়ে গিয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয় যে তার মোমের পালকগুলি গলে গিয়েছিল ফলে তার দুর্ঘটনা কবলিত অবতরণ ঘটে এবং পরবর্তীতে সে সমুদ্রে ডুবে যায়।

ব্যবহারিক বা বাস্তবিক পক্ষে আকাশে উড়ার বিষয়টি তখনই সামনে আসে যখন দুজন চীনা দার্শনিক মোজি এবং লু বান
পরীক্ষামূলক ভাবে সর্বপ্রথম কোনো বস্তুর আকাশে উড্ডয়ন পরিচালনা করেছিলেন। তাদেরকে ঘুড়ির আবিষ্কারকও বলা হয়ে থাকে। ফলাফল স্বরূপ, তাদের এই অগ্রণী ভূমিকার বিনিময়ে তারা পার্শ্ববর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে সামরিক কলাকৌশল নিজ দেশের জ্ঞানভাণ্ডারে জমা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

বলা হয়, ইবনে ফিরনাস এখনো তার কর্মক্ষেত্রের অগ্রনায়ক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকেন।কেননা তিনিই সর্বপ্রথম শূন্যে উড্ডয়নশীল ভারী বস্তু নিয়ে আকাশে উড়েছিলেন।

তিনি নবম শতকের আন্দুলুসিয়ার ইযন- রেন্ড-ওন্ডা (বর্তমান স্পেনের রন্ডা)অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি তার যৌবনের বেশিরভাগ সময় তৎকালীন ‘কর্ডোভা আমিরাতে’কাটিয়েছেন যা উমাইয়া খলীফাদের আমলে জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রধানকেন্দ্রগুলোর অন্যতম একটি প্রধানকেন্দ্র ছিল।

কিছু ঐতিহাসিক সমীক্ষা এই রায় দেয় যে,আল ফিরনাস আর্মেন ফিরমানের দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন যিনি মূলত কোনো বিজ্ঞানী বা কারিগরী প্রকৌশলবিদ ছিলেন না বরং প্রকৃতির একজন বিশুদ্ধ পর্যবেক্ষক ছিলেন। আল ফিরমানই প্রথম ব্যক্তি যিনি কাঠের পাটাতনে পাখির পালক এবং রেশম আবৃত করে সর্বপ্রথম ডানা বানিয়েছিলেন। অষ্টম শতাব্দীর ৮৫০সনে আল ফিরমান কর্ডোভার সবচেয়ে উঁচু মিনার বিশিষ্ট মসজিদের মিনারে আরোহন করেছিলেন এবং তার আবিষ্কৃত ডানাটি পরিধান করে তিনি শূন্যে ঝাঁপিয়ে পরেছিলেন। যদিও তার উড্ডয়নের এই প্রচেষ্টাটি খুব দ্রুতই অকৃতকার্য হয়েছিল এবং তিনি জমিনে ভূপাতিত হয়েছিলেন কিন্তু উড্ডয়নের পরপর তার উড়ুক্কু যানের ডানা একেবারে সঠিক সময়েই স্ফীত হয়েছিল এবং তার অবতরণকে ধীরগতির করে দিয়েছিল।ভূপাতিত হয়ে হাড্ডি না ভাঙ্গাই তার জন্য যথেষ্ট সৌভাগ্যের ব্যাপার ছিল। দেরিতে ভূপাতিত হওয়া তার জীবন রক্ষার কারণ হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছিল।

ইবনে ফিরনাস আল ফিরমানের দুঃসাহসিক উড্ডয়ন অভিযাত্রা সেই উৎফুল্ল জনসমাগমের মাঝে দাঁড়িয়ে থেকে দেখেছিলেন যাদের সকলেই উর্ধ্বাকাশে আল ফিরমানের আশ্চর্যজনক ফলাফল দেখে আশ্চর্যান্বিত ও প্রভাবিত হয়েছিল। তখন থেকেই ইবনে ফিরনাস অনুধাবন করতে শুরু করেছিলেন যে,শূন্যে উড়ে বেড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত বিভিন্ন পাখি ও কীটপতঙ্গের উড়ে বেড়ানোর প্যাটার্ন বা কলাকৌশল সম্পর্কে অধ্যয়ন করেছেন। তারপরেই তিনি তার উড়ুক্কু যান আবিষ্কার করেছিলেন। সেটি তার সাফল্যের অন্যতম একটি বছর হওয়া সত্ত্বেও আবিষ্কারে ক্ষান্ত না থেকে তিনি ইয়েমেনের জাবাল আল আরুস পর্বতের উঁচু শৃঙ্গ থেকে তা পরিধান করে ঝাঁপিয়ে পরেছিলেন।

এর কয়েক শতাব্দী পর ১৬৩০সনে একজন উসমানীয় তুর্কী ‘আহমেদ জেলেবী’ সফলভাবে আকাশে উড্ডয়ন করে বিখ্যাত বসফরাস প্রণালীর উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে ভূমিতে অবতরণ করেছিলেন।

অন্যান্য উদ্ভাবন:
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি ইবনে ফিরনাসের তুমুল আগ্রহ তাকে পানি চালিত ঘড়ি আবিষ্কারের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। এছাড়াও তিনি বালু এবং কোয়ার্টজ স্ফটিকের বৈশিষ্ট্য বুঝার জন্য সেগুলো নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেছিলেন। অনেক ঐতিহাসিক এই দুটি উপকরণের মাধ্যমে স্বচ্ছ গ্লাস আবিষ্কারের কৃতিত্ব তাকেই দিয়ে থাকেন।এমনকি বিখ্যাত আন্দুলুসিয়ান গ্লাসের জনকও তিনি যা এখনো মানুষ ব্যবহার করে এবং এখনো এর তুমুল চাহিদা পরিলক্ষিত হয়। ভিজুয়াল চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রেও আমরা তার উদ্ভাবনের দ্বারা অনেক উপকৃত হয়েছি। যেহেতু লেন্স যা ক্ষুদ্র বস্তু দেখতে ও ক্ষুদ্র লেখা পড়তে আমাদের সাহায্য করে তা আবিষ্কারের কৃতিত্বও যে তাকে দেওয়া হয়!

ইবনে ফিরনাস ছিলেন বারবার বংশের লোক। তার নামের মূলধাতু আফার্নাস হতে উদ্ভূত, যা এখন একটি ব্যাপক প্রচলিত ও সাধারণ নাম হিসেবে মরোক্কো এবং আলজেরিয়া উভয় রাষ্ট্রের মধ্যেই বলতে শুনা যায়। বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর, সেতু, পাহাড়, পার্ক,সড়ক এবং বৈজ্ঞানিক সংস্থাকে এই নামে নামকরণ করা হয়েছে, বিশেষ করে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে। এমনকি বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছেই তার একটি মূর্তি এবং স্পেনের কর্ডোবার গুয়াডাল্কিভির নদীর উপর সেতুটিও তার নামে নামকরণ করা হয়েছে।

তিনি ৮৯০ বা ৮৯৫ সনের মাঝামাঝি সময়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। অনেক ঐতিহাসিকের প্রবল ধারণা মতে, আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তার মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়েছিল।

নিজ থেকে খাবার খেতে পারছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

0

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সার্বিক শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। তাঁর ফুসফুস নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। যথেষ্ট অক্সিজেন ও এন্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে। তিনি নিজ থেকে খাবার খেতে পারছেন। রক্তচাপ ও অন্যান্য ক্লিনিক্যাল অবস্থা স্থিতিশীল।

সোমবার বিকালে ডা. জাফরুল্লাহর চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, ৭৯ বছর বয়স্ক এই চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা অনেক দিন থেকে কিডনির অসুখে ভুগছেন। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র-উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র‍্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ ছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে।

হতভাগা কবি রুমি

0

মুসাব ইমাদ আল-মোবায়েদ | ফিলিস্তিনি ব্লগার


অনুবাদ : নাহিয়ান হাসান


প্রথমেই আমাদের স্বীকার করতে হবে যে কোনো ব্যক্তিই প্রাকৃতিকভাবে অবচেতন জড় মাধ্যম নন; বরং তিনি এমন একজন মানুষ যিনি অপরকে প্রভাবিত করেন এবং নিজেও প্রভাবিত হন। আমরা বলতে পারি “মনোভাব এবং অঙ্গভঙ্গির দৃষ্টিকোণ থেকে যে চূড়ান্ত ফলাফল বিবেচনা করা হয়; তারই গঠন সমানতালে একীভূত হওয়ায় কিছুসংখ্যক ক্রিয়াশীল কারণের সারনির্যাস হল এই মানুষ”। সেই ক্রিয়াশীল কারণ সমূহের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, ”মানসিক ও জীবনযাপনের অবস্থা”। জীবনযাত্রার চারপাশে স্থিতিশীলতার পরিধি ও অন্যান্য কারণগুলোও এক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি এমন একজন ফুটবল খেলোয়াড় খুঁজে পেলেন যিনি “অর্থনৈতিক ও মৌলিক চাহিদাগুলোর স্থিতিশীলতা” এবং “ভাল মানের নৈতিক রসিকতা” উপভোগ করেন। এখন এগুলোর প্রতিফলন আপনি দেখতে পাবেন খেলার মাঠে তার ভালো পার্ফরম্যান্সে।

ঠিক তেমনি, লেখক যখন তার সাহিত্য মননে বিচরণ করেন, তখন আপনি দেখবেন, “তিনি অত্যন্ত চমৎকারভাবে সাহিত্যের আল্পনায় আপনাকে রাঙিয়ে দিচ্ছেন”। কিন্তু তিনি যদি তার সাহিত্য মননে বিচরণে স্থিতিশীলতা না পান”(বিরক্ত হয়ে যান), একই বিষয়ের সাহিত্য আল্পনায় আপনি তখন খুঁজে পাবেন বিস্তর ফারাক!

“যে কেউই ‘এই ভূমিকা’ এবং ‘ইবনে রুমির কবিতার মুন্সিয়ানায়’ যোগসূত্র কী তা জিজ্ঞেস করতে পারেন।”

-এর উত্তর পরবর্তী পঙক্তিতে রয়েছে যা ‘বিখ্যাত কবি ইবনে রুমির’ “জীবন ও চরিত্রের” একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক থেকে অজানার পর্দাকে সরিয়ে দিয়ে প্রশ্নবাণকে স্তিমিত করে দিবে। আর তা আমাদেরকে তার ব্যক্তিত্ব ও জীবনের অবস্থা সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করবে এবং এটাও বুঝতে সাহায্য করবে যে ‘ইবনে রুমি’ কে? কীভাবেই বা তার কবিতা তাকে মৃত্যু সুধা পান করিয়েছে?

আব্বাসীয় খলিফাদের শাসনামলে ‘ইবনে রুমি’ দীর্ঘ আট যুগ বেঁচে ছিলেন। খলিফাদের শাসনামলে দীর্ঘ সময়কাল অতিবাহিত করন এবং কাব্যরচনায় তার অসাধারণ পাণ্ডিত্য সুবিদিত হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবার শাসক কর্তৃক ব্রাত্যই রয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

ইবনে রুমিকে আব্বাসীয় অভিজাত কবিদের মধ্যে অন্যতম সেরা অভিজাত কবি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি জন্মগতভাবে বাগদাদী, তবে জাতিগত দিক থেকে রুমি বংশদ্ভূত এবং তার মা হলেন একজন ফারসি।

কবি জীবনে অনেক বিয়োগান্ত ও প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। যার ফলে তার ব্যক্তিসত্তা হতাশাগ্রস্থ ও বিভ্রান্ত প্রবণ হয়ে পড়ে। সেই সমস্ত বিয়োগান্তের অন্যতম বিয়োগ বেদনা হল, তার বাবা-মা ও বড় ভাইয়ের মৃত্যু। এছাড়াও তার বিবাহিত জীবনের মধ্যগগনে প্রিয়তমা স্ত্রী ও আদুরে তিন সন্তানের জীবনপ্রদীপ চিরতরে নিভে যায়। একারণেই প্রয়াত মিশরীয় সমালোচক ‘তোহা হুসাইন’ বলেন, “তিনি (ইবনে রুমি) তার ব্যক্তিজীবনে খুবই দুর্ভাগা ছিলেন”।

লোকজন তাকে পছন্দ করতো না, আর তিনিও তাদের প্রতি ছিলেন ক্রুদ্ধ। শুধু কি তাই? হিংসাত্মকও ছিলেন বটে। তার বিষয়টি শুধুমাত্র দুর্ভাগ্যে সীমিত থাকেনি বরং বদস্বভাবের গণ্ডিতে পৌঁছে গিয়েছিল।ফলে তিনি ছিলেন রুষ্ট, অস্থির, বদ মেজাজী ও ভীতিগ্রস্ত এবং প্রচন্ড স্পর্শকাতর। আর বাড়াবাড়ির কারণে প্রায়শই লোকজন তার ব্যাপারে নালিশ করতো। এসবকিছুর ফলশ্রুতিতে বিশ্ব দরবারে তিনি এমনকিছু কবিতা উপহার দিয়েছিলেন যা পাঠককে শোকাহত ও অশ্রুসিক্ত করেছে।

তার কবিতাগুলো ছিল তার কাছে এক উন্মুক্ত বিস্তৃত প্রান্তরের ন্যায়, যেখানে তিনি মানসিক চাপ ও দুর্দশা থেকে মুক্ত হতেন।

‘কাব্যিক কথামালা’ হোক বা ‘ব্যঙ্গাত্মক ছড়া’- তার সমস্ত কবিতায় তিনি রাজকীয় সিংহাসন অর্জন করার পরেও কাব্যের অন্যান্য ধারাগুলো যেমন, ‘প্রকৃতি প্রশংসা’, ‘বিলাপ’ এবং ‘গর্বের বর্ণনা’ দেওয়ার মত ভাবধারা গুলোতেও নজিরবিহীন নতুন ধারা আবিষ্কার করেছিলেন।

যেখানে প্রাণবন্ত হওয়ার পাশাপাশি নিষ্পাপ অনুভূতিগুলো কাব্যিক ঘরের ত্রিসীমানায় এমনভাবে প্রবেশ করে, যা বাস্তব বিলাসী কৃত্তিমতা বিবর্জিত কাব্যিক ছন্দ ও ছড়াতেও সমান গুরুত্ব বজায় রাখে। যার কারণে তার কবিতাগুলো অন্যান্যদের কবিতা থেকে একেবারেই আলাদা।

এটি একটি পুরনো জানা বিষয় যে, কবি ও রাজাদের মধ্যকার সম্পর্ক খুবই ব্যতিক্রমধর্মী থাকে। কারণ কবিগণ রাজাদের জন্য মিডিয়া ফ্রন্ট ছিলেন। তখন রাজারাই কবিদের জন্য অর্থ, নিরাপত্তা এবং পদমর্যাদা দানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ইবনে রুমি সেই আব্বাসীয় খলিফাদের শাসনামলে আট যুগ বেঁচে ছিলেন, যারা ছিলেন কবিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তাদের শাসনামলে দীর্ঘকাল অতিবাহিত করন ও কাব্য রচনায় তার পাণ্ডিত্য সুবিদিত হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবার শাসক কর্তৃক একপ্রকার ব্রাত্যই রয়ে গিয়েছিলেন। এমনকি তার কোনো কবিতাই গ্রহণ করা হয়নি, ফলে শাসকদের রাশি রাশি উপঢৌকনের ছিটেফোঁটাও তার হাতে উঠেনি।

তাই চারপাশের প্রত্যেকের বিদ্রুপ করার ক্ষেত্রে ইবনে রুমি তার কবিতাকে ব্যবহার করছিলেন।

ইতিহাসবিদ ‘মারজাবান’ তার সম্পর্কে বলেছিলেন,”আমি জানি না যে তিনি কখনো উচ্চতর বা অধীনস্ত কারও প্রশংসা করেছিলেন কিনা, এবং এতো বিদ্রুপ সহ্য করার পরেও কেউ যদি তার কাছে ফিরে আসতো, তবুও তিনি তাকে বিদ্রুপ করতে ছাড়তেন না। একারণেই তার কাব্যিক কথামালার কার্যকারিতা হ্রাস পাচ্ছিল আর উচ্চপদস্থরা এটাকেই সুবর্ণ সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন।”

খলিফার অনেক মন্ত্রী ও প্রতাপশালী শাসক ইবনে রুমি থেকে নিষ্কৃতি পেতে চাচ্ছিলেন, যাতে অনবরত তাদের পিছনে ছুটতে থাকা রুমির তীক্ষ্ণ ফলা থেকে তারা পরিত্রাণ পেতে পারেন। হামলাপ্রবণ মন্ত্রীদের মধ্যে ‘আল কাসেম ইবনে ওয়াহাবই’ একমাত্র মন্ত্রী যিনি ইবনে রুমিকে বিষ দিয়ে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন এই ভয়ে যে, নতুবা তার (ইবনে রুমির) বিদ্রুপাত্মক তীর তাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিবে।

এই বিদ্রোপ থেকে নিষ্কৃতির জন্য ‘ইবনুল ফিরাশ’ নামী কোনো এক আগন্তুকের মাধ্যমে ইবনে রুমির সামনে এগিয়ে দেওয়া মিঠা খাদ্যে বিষ প্রয়োগ করা হয়। অতপর ইবনে রুমি অজান্তেই সেই বিষ গ্রহণ করে গ্রহণ করলে তার সারা দেহে ছড়িয়ে এবং বিষক্রিয়া তার স্বভাবগত বেদনা দিতে আরম্ভ করে।

তখন ইবনে রুমি সেই মজলিস ছেড়ে চলে যেতে উদ্যত হলে মন্ত্রী তাকে কটাক্ষ করে প্রশ্নবাণ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “কোথায় যাওয়া হচ্ছে?” প্রতিত্তোরে তিনি বললেন, “যেথায় তুমি পাঠাচ্ছো আমায়।” তখন মন্ত্রী বিদ্রুপের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়ে বলে বসলেন, “আমার পিতামাতাকে সালাম জানিয়ো।” তৎক্ষনাৎ ইবনে রুমি তার সদুত্তর দিতে ছাড়লেন না! তিনি বললেন, “আমি জাহান্নামের পথিক নই,”। তার পরপরই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পরলেন, যাতে সকলের কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে যায়, “অন্যের উপর প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে তার মুখ কখনোই ক্লান্তি বোধ করে না। এমনকি জীবনের শেষ নিঃশ্বাসের সময়েও নয়!”

তিনি আমাদেরকে এতো বিশাল সাহিত্য ভাণ্ডারের উত্তরাধিকার করে গিয়েছেন যে তার তুলনা হয় না! তার এই বিশাল সাহিত্য ভাণ্ডারই তাকে পুরো ইতিহাসে কবিতার বিশালাকার দৈত্যতে রুপান্তর করেছে।

দেশে একদিনে করোনায় আরও ৪২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৭৩৫

0

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ২৭৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮৫০৪ জনে।

এসময়ের মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১২৯৪৪টি নমুনা।

আজ ৮ জুন সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

এছাড়া, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৯৩০ জনের।

এদিকে এসময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছে আরও ৬৫৭ জন।