মঙ্গলবার | ১ জুলাই | ২০২৫

করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পাকিস্তানে মাদরাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ ঘোষণা

spot_imgspot_img

ইনসাফ | নাহিয়ান হাসান


অক্টোবর থেকে বিশেষজ্ঞগণ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের যে আশঙ্কা করছিলেন তার বাস্তব রূপ দেখতে শুরু করেছে বিশ্ব! গত কয়েকমাসে করোনার প্রাদুর্ভাবের ভয়াবহতা তুলনামূলক কম থাকলেও ইতিমধ্যে তা আবার তার আসল রূপ দেখাতে শুরু করেছে।

বিশ্বের উন্নত- অনুন্নত রাষ্ট্রগুলো ভয়াবহ এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায়, কেউ পুরোপুরি আবার কেউ স্মার্ট লকডাউনের পথে হাটছে। পাকিস্তানও এর ব্যাতিক্রম নয়।

দ্বিতীয় বারের মতো স্মার্ট লকডাউন পলিসি গ্রহণ করার পাশাপাশি ২৬ নভেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশজুড়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সরকার।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) এক জরুরী বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ ভাইরাসটি আবার ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে থাকায় তা থেকে বাঁচতে ও পাকিস্তানের কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে ইমরান খান এই জরুরী বৈঠক আয়োজন করেন বলে জানায় পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো।

বৈঠকে পাকিস্তানের জাতীয় সমন্বয় কমিটি, দেশে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার পর তা ইমরান খানের সামনে তুলে ধরে।

করোনা নিয়ে কমিটির পর্যালোচনা ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার পর ইমরান খান দ্বিতীয় বারের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধের ঘোষণা দেন।

অপরদিকে পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী শাফকাত মাহমুদ জানান, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণাটি দ্বীনি মাদরাসাগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। কেনোনা সেগুলোও শিক্ষাবোর্ডের অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া, ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য সকল পরীক্ষা ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত থাকবে তবে এন্ট্রি লেভেলের পরীক্ষাগুলো নিয়মমাফিক অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরো জানান, যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে তারা অনলাইনে এবং যেসকল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে নিয়মিত ক্লাস হয় না সেগুলো তাদের শিক্ষা-কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।

তাছাড়া,নতুন শিক্ষাবর্ষ এপ্রিলের পরিবর্তে আগস্টে নিয়ে যাওয়া এবং মার্চ-এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য বোর্ডের পরীক্ষাগুলোকে পিছিয়ে মে-জুনে নিয়ে যাওয়ার একটি প্রস্তাবনা রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী শাফকাত মাহমুদ।

ওই বৈঠকে জাতীয় সমন্বয় কমিটির ঊধ্বর্তন রাজনৈতিক নেতারা ছাড়াও ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশনস সেন্টার (এনসিওসি) এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘন্টায় পাকিস্তানজুড়ে ২৭৫৬জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার এবং ৩৪ জন আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।

সূত্র: জিও নিউজ।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img