জুনে ৫ কাশ্মীরীকে হত্যা ও ৪৫ জনকে গ্রেফতার করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় সেনারা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের অংশ হিসেবে দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরে অভিযানের নামে জুনে সর্বমোট ৫ কাশ্মীরীকে হত্যা করেছে ভারতের দখলদার বাহিনী। তন্মধ্যে ২জনকে নিরাপত্তা হেফাজতে সাজানো এনকাউন্টারে হত্যা করা হয়।
এছাড়া ইসরাইলী কায়দায় এলাকা ও বাড়িঘর অবরুদ্ধ করে তল্লাশী অভিযান চালিয়ে ৪৫ জন নিরীহ বেসামরিক কাশ্মীরীকে গ্রেফতার করে দিল্লির উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের আজ্ঞাবহ সম্মিলিত বাহিনী।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, মে মাসের শুরুতে দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরের নয়নাভিরাম পর্যটন স্পট পেহেলগাঁওয়ে সাজানো সন্ত্রাসী হামলার জেরে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ঘরে ঘরে সন্ত্রাসী কায়দায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। অভিযানকালে পুরো গ্রাম বা এলাকা অবরুদ্ধ করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়। সাধারণ কাশ্মীরীদের জনজীবন ব্যাহত করা হয়। তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণদের। জব্দ করা হয় মোবাইল সহ ঘরে থাকা যাবতীয় দলিল ও নথিপত্র। ড্রোন দিয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারিও চালানো হয় দখলকৃত মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলটিতে।
এছাড়া গত ১৬ জুন অমরনাথ তীর্থযাত্রার নিরাপত্তা ও শান্তির নামে দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরে দেশটির ইতিহাসের নজিরবিহীন সেনা সমাবেশ ঘটানো হয়। উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন তীর্থযাত্রার নিরাপত্তায় প্যারা মিলিটারীর অতিরিক্ত ৫৮০ কোম্পানি মোতায়েন করে। সংখ্যার দিক দিয়ে যার পরিমাণ ৬৯ হাজার ৬০০ জন। কেননা, কোম্পানি বলতে সামরিক বা আধাসামরিক বাহিনীর একটি নির্দিষ্ট আকারের ইউনিট বা দলকে বোঝানো হয়। সাধারণত ৮০ থেকে ১৫০ জন সদস্য নিয়ে একটি কোম্পানি গঠিত হয়।
ভারতের CRPF, BSF, ITBP প্রভৃতি বাহিনীগুলোর একেকটি কোম্পানিতে প্রায় ১২০ জন করে সদস্য থাকে।
৫৮০ কোম্পানির প্যারামিলিটারীর বাহিনীটিতে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF), বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF), ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ (ITBP) এবং সশস্ত্র সীমা বল (SSB)-এর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়। যার মধ্যে ৪০০ কোম্পানিই কেন্দ্রীভূত থাকবে অমরনাথ যাত্রার প্রধান দুটি রুট পেহেলগাঁও ও বালতালে।