রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আলেকজান্ডার দুগিনের মেয়ে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। সন্দেহ করা হচ্ছে গাড়ি বোমা হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডে তদন্ত করছে যে কমিটি তারা বলছে, রাজধানী মস্কোর বাইরে রাস্তায় এক বিস্ফোরণে দারিয়া দুগিনা নিহত হয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, তার বাবা রুশ দার্শনিক আলেকজান্ডার দুগিন, যিনি ‘পুতিনের মস্তিষ্ক’ হিসেবে পরিচিত তাকে হত্যা করার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছিল।
দুগিন একজন উগ্র-জাতীয়তাবাদী মতাদর্শী দার্শনিক, যিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন যে, দারিয়া দুগিনা ঘটনাস্থলেই মারা যান। তারা বলেন, গাড়িটিতে আগুন ধরে যাওয়ার আগে সেখানে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়।
ফরেনসিক ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।
মস্কো থেকে বিবিসির ভিল ভার্নন বলেন, আলেকজান্ডার দুগিন কোনো রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা নন কিন্তু তিনি রাশিয়ার রাজনীতিতে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তার পশ্চিমা-বিরোধী ও উগ্র-জাতীয়তাবাদী দর্শন রাশিয়ায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক মতাদর্শে পরিণত হয়েছে যা প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্প্রসারণবাদী পররাষ্ট্র নীতি তৈরিতে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করেছে।
বিশেষ করে ইউক্রেনের ব্যাপারেও দুগিনের দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এখনো ওই হামলার দায়িত্ব কেউ স্বীকার করেনি। তবে রুশপন্থী স্বঘোষিত দোনেৎস্ক পিপল’স রিপাবলিকের প্রধান ডেনিস পুশিলিন এই হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন।
দারিয়া দুগিনাও ছিলেন একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক যিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের সোচ্চার সমর্থক ছিলেন। এ বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র তার ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। ৩০ বছর বয়সী দুগিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল যে, রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ব্যাপারে তিনি অনলাইনে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দিয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি