২০২২ সালের জুন মাসে তীব্র অর্থ সংকটে থাকা লেবাননের সেনাবাহিনীকে সমর্থন ও কর্মীদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছিল মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানি সমৃদ্ধশালী দেশ কাতার। যার ষষ্ঠ দফা ইতিমধ্যে লেবানন সেনাবাহিনীর হাতে পৌঁছেছে।
গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) লেবাননের সেনা কমান্ডার জোসেফ আউন এক বিবৃতিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি সর্বপ্রথম কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-ছানির এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি লেবাননের বর্তমান আর্থিক সংকট বিবেচনা করে এটিকে ‘অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, এসব আর্থিক অনুদান সকল সামরিক কর্মীদের ‘সমানভাবে’ বিতরণ করা শুরু হয়েছে।
গত বছরের আগস্ট মাসে বরাদ্দকৃত এই অর্থের প্রথম কিস্তি দিয়ে সেনাদের বেতন পরিশোধ করা হয়।
এর পূর্বে ২০২১ সাল জুড়ে লেবানন সেনাবাহিনীকে প্রতি মাসে ৭০ টন খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছে তার ভাতৃপ্রতিম দেশ কাতার।
উল্লেখ্য; ২০১৯ সাল থেকে লেবানন ব্যাপকভাবে আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়। ২০২০ সালে ভূমধ্যসাগরীয় এ দেশটি ঋণ খেলাপির মুখে পড়ে। যার ফলে স্থানীয় মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রায় ৯৫ শতাংশ মূল্য হারায়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপের দিকে যায় যে, লেবাননের পাঁচ জন মানুষের মধ্যে চারজনকে দারিদ্র বলে চিহ্নিত করা হয়। এ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সেনাবাহিনীর বেতনেও টান পড়ে। কমিয়ে দেওয়া হয় সামরিক বাজেট। ফলশ্রুতিতে নিজেদের মৌলিক চাহিদা ও সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রেও সমস্যার সম্মুখীন হয় লেবাননের সেনাবাহিনী। অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে ২০২০ সালে খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণে কর্তব্যরত সৈন্যদের খাদ্য তালিকা থেকে মাংস বাদ দেওয়া হয়।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর ও সিএনএন