ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অনুর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপ বাতিলের পাশাপাশি ছিনিয়ে নেওয়া হলো আয়োজনের অধিকার।
বুধবার (২৯ মার্চ) জরুরী ভিত্তিতে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা।
বিবৃতিতে নিরাপত্তাজনিত কারণে ইন্দোনেশিয়ায় বিশ্বকাপ আয়োজন বাতিল ও আয়োজন ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
তাছাড়া পূর্ব ঘোষিত তারিখে বিশ্বকাপ আয়োজিত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে অতি দ্রুত নতুন আয়োজক দেশের নাম ঘোষণা করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
জানা যায়, বাতিল হওয়ার আগে আগামী ২০ মে থেকে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অনুর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপে ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে দেশটির সরকার।
রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে দেশটির জনগণ। এমনকি ফিলিস্তিন ইস্যুকে গুরুত্ব না দিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের অভিযোগও তোলা হয় সরকারের বিরুদ্ধে। ইসরাইলকে টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কারের দাবিও জানায় বিভিন্ন শহরের বিক্ষুব্ধ জনতা।
এর আগে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ বালি দ্বীপের গভর্নর ওয়ায়ান কোস্টার ও সেন্ট্রাল জাভার গভর্নর গাঞ্জার প্রাণভো তাদের শহরে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের ফুটবল দলকে আতিথেয়তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বেকায়দায় পড়ে যায় আয়োজক দেশটির সরকার ও ফুটবল সংস্থা পিএসএসআই।
গভর্নরেরা জানান, ধর্মীয় কোনো কারণে নয় বরং ফিলিস্তিনে ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদারিত্বের কারণে তাদের শহরে তারা ইসরাইলের ফুটবল দলকে আতিথেয়তা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বহুমুখী চাপের মুখে শেষমেশ চলতি সপ্তাহে গ্রুপ নির্ধারণী ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ফিফার সাথে আলোচনা করে তা স্থগিত করা হয়। সর্বশেষ দেশটিতে বিশ্বকাপ আয়োজনই বাতিল করতে বাধ্য হয় ফিফা।
অপরদিকে সমালোচনা ও বিক্ষোভের মুখে জনগণের উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও বার্তা দেন মুসলিম জনসংখ্যায় বৃহত্তম দেশটির প্রেসিডেন্ট। যেখানে তিনি দাবী করেন, আয়োজক দেশ হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরাইল বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নিতে পারেনি। বরং পরবর্তীতে অনুর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে দলটি।
এসময় ফিলিস্তিন ও ইহুদিবাদী দখলদার ইসরাইল বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রনীতিতে কোনো পরিবর্তন না আনারও অঙ্গীকার করেন তিনি।
সূত্র: আল জাজিরা
